Site icon Aparadh Bichitra

যাদের কোনও কাজ নেই, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের এই সুযোগটা করে দিয়েছে

মূর্খদের মতামত দেওয়ার জায়গা হল সোশ্যাল মিডিয়া বলে মন্তব্য করে টলিপাড়ায় রীতিমত হইচই ফেলে দিযেছেন বলিউডের ‘পাওয়ার হাউস’ নাসিরুদ্দিন শাহ। শৈবাল মিত্রর ছবি ‘দেবতার গ্রাস’-এর শুটিংয়ের জন্যই কলকাতায় পা রাখলেন নাসিরউদ্দিন শাহ।

 

জেরোম লরেন্স ও রবার্ট ই লিয়ের লেখা নাটক ‘ইনহেরিট দ্য উইন্ড’ অবলম্বনে পরিচালক তৈরি করেছেন ছবির চিত্রনাট্য। এই ছবিতে নাসিরউদ্দিন শাহের সঙ্গে দেখা যাবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের যুগলবন্দী। সম্প্রতি কলকাতায় শুরু হল ছবির শুটিং। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক স্বাক্ষাতকারে এমন কথা বলে বসেন তিনি। তার একেবারেই ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় ও স্যোশাল মিডিয়ায় তা নিয়ে আলোচনার জের নিয়ে একটি প্রশ্ন করা হলে তিনি একথা বলেন। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া মানু‌ষ কেন করে জানেন? একটা স্ক্রিনে নিজের নামটা দেখতে পাওয়ার জন্য। দ্যাটস দ্য থ্রিল। আমি নিজেও অভিনেতা হয়ে পর্দায় নিজের নামটা দেখার স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু যাদের কোনও কাজ নেই, সোশ্যাল মিডিয়া তাদেরও এই সুযোগটা করে দিয়েছে। লোকজনকে গালিগালাজ করা, ঘৃণা ছড়ানো, অশ্লীলতা— এগুলোই তাদের কাজ। এমনকি তার জন্য পয়সাও পাচ্ছে! মূর্খদের মতামত দেওয়ার জায়গা হল সোশ্যাল মিডিয়া…’পরক্ষণে তিনি আবারো বলতে থাকেন, ‘কিন্তু এত ঘৃণা মানুষের মধ্যে কী করে আসে বলুন তো? তার মানে এগুলো মনের ভিতরে জমা ছিলই। কালের নিয়মে এখন বেরিয়ে আসছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেই (নরেন্দ্র মোদী) দেখুন না! এমন সব কথা বলেন, আতঙ্ক হবে। তবু ওঁর একটা পিএমও আছে, সীমা লঙ্ঘন করতে পারেন না তিনি। কিন্তু এই লোকগুলোর তো কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আমাকেই কত লোক বলেছে পাকিস্তানে চলে যেতে!’ প্রসঙ্গত, দুই উকিলের সম্মুখ সমরের প্রেক্ষাপটেই এগোবে `দেবতার গ্রাস’ ছবিটি। আর ছবিতে এই দুই উকিলের ভূমিকায় সৌমিত্র-নাসির। বলার অপেক্ষা রাখে না পর্দায় অভিনয় পারদর্শীতায় মাতাবেন দর্শককে। এক্কেবারে সমানে সমানে টক্কর। তবে পুরো ছবিটা বাংলায় তৈরি হবে না হিন্দি ও ইংরেজী ভাষাও ব্যবহার করা হবে। তবে এই দুই কিংবদন্তী অভিনেতা ছাড়াও দেবতার গ্রাসে দেখা যাবে শ্রমন চট্টোপাধ্যায়, অনসূয়া মজুমদার, পার্থপ্রতিম মজুমদার, শুভ্রজিৎ দত্ত, অমৃতা চট্টোপাধ্যায়দের। কৌশিক সেন ছবিতে দিল্লির একজন সাংবাদিকের ভূমিকায়। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার। কোর্টরুম ড্রামার একটি অংশ শুট হবে ইনডোরে। বাকি অংশের শুটিংয়ের হবে বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার জন্যই খুব বেশিদূরে আউটডোরের কথা ভাবা হয়নি। ১৯৫০ এর দশকের এই নাটটকে এখনকার সময়ের মতো করে চিত্রনাট্যের আকার দিয়েছেন পরিচালক। পরিচালক শৈবাল মিত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেছিলেন, ”এখনকার ভারতবর্ষের প্রেক্ষাপটে চিত্রনাট্য তৈরি করেছি। সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবেশগত দিক থেকে সবটাই ভীষণ বিবর্ণ এখন”। তিনি আরও বলেন, ”চিত্রনাট্য পড়েই রাজি হয়েছিলেন নাসির জি”। তাছাড়া নাসির জি ও সৌমিত্র দা চিত্রনাট্যে দুজনেই ইনপুটই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ”।