নামী দামী প্রতিষ্ঠানের মানহীন বাহান্নটি পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের জন্য হাইকোর্টের রায়ের পরও বাজারে এখনো বহাল তবিয়তে বিক্রি হচ্ছে সেসব পণ্য। যে ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’কে এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা বলছেন, ঢালাওভাবে পণ্যগুলো প্রত্যাহার করা হবে না।
কেবল মানহীন প্রমাণিত ব্যাচ নাম্বার দেখেই তা বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হবে। রমজানের আগে আগে বিভিন্ন নামী দামী ব্র্যান্ডের চারশ’ ছয়টি পণ্যের নমুনা বাজার থেকে সংগ্রহ করে নিজেদের ল্যাবে পরীক্ষা শেষে ৫২টি পণ্যকে মানহীন ঘোষণা করে বিএসটিআই। কিন্তু তারপরও চলতে থেকে এসব পণ্যের বিকিকিনি। একটি বেসরকারি সংস্থার রিটের বিপরীতে রবিবার হাইকোর্ট পণ্যগুলো বাজার থেকে প্রত্যাহার করে ধ্বংস করার জন্য নির্দেশ দেয় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু বাজার ঘুরে দেখা গেলো সব পণ্যই বিক্রি হচ্ছে সমান তালে। রায়ে আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট ক্ষমতাধর বলে উল্লেখ করেছিলো। সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলছেন, তাদের দায়িত্ব মূলত খাদ্যের মানের নিয়ামক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করা। জানালেন, বারবার চেষ্টা সত্বেও বিএসটিআই এর কাছ থেকে ঐ বাহান্নটি পণ্যের ল্যাব টেস্টের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তা পাওয়া গেলে ব্যাচ নাম্বার দেখে দেখে বাজার থেকে প্রত্যাহার করার কাজ শুরু হবে। মানহীন প্রমাণিত বাহান্নটি পণ্যের মধ্যে আছে, সরিষার তেল, লাচ্চা সেমাই, ঘি, বিশুদ্ধ পানি, গুঁড়া মসলা, লবন, চিপস, নুডলস, চানাচুর, বিস্কিট, ময়দা, সুজি, মধু ও দই।