অধিকাংশ দোকানের নেই ড্রাগ লাইসেন্স

1
2265

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় চলছে নিয়ম বহির্ভূত ফার্মেসী ব্যবসা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিটি উপজেলায় হাট বাজারে পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠেছে ঔষধের ফার্মেসী। যাদের অধিকাংশ দোকানের নেই ড্রাগ লাইসেন্স। থাকলেও নবায়ন করা হয়নি।

 

ফোন প্রকার ফার্মাসিষ্ট প্রশিক্ষণ ও সনদ ছাড়া চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা নিন্মমানের ঔষধে অধিক মুনাফার আশায় করে যাচ্ছেন অবৈধ ব্যবসা। পাড়া মহল্লার প্রতিটি  মুদি ও ষ্টেশনারী দোকানে পাওয়া যাচ্ছে নিন্মমানের ব্যাথানাশক সহ সকল প্রকার ঔষধ যার প্রতিটি ঔষধের প্রতিক্রিয়া ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নেই কোন ধারনা। কাটা সেলাই ব্লাড প্রেশার মাপা, ইনজেকশন এবং স্যালাইন প্রয়োগ করে থাকেন অধিকাংশ হাতুড়ে ডাক্তারগন। কিছু কিছু দোকানে দেখা যায় হোমিউপ্যাথি, এ্যলোপ্যাথিক বায়োকেমিক্যাল সহ পশুচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন একজন হাতুড়ে চিকিৎসক। অনেকেরই অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ এই ধরনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে অনভিজ্ঞ ও সনদ বিহীন চিকিৎসকগন। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় দিনের পর দিন ব্যাঙ্গের ছাতার মতো বৃদ্ধি পাচ্ছে এই সব ফার্মেসীও ক্লিনিকের পরিমান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন লোকজন মেডিসিনের ব্যবসা করছেন। যাদের নেই নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা। এতে করে শিশু বৃদ্ধ সহ ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অকালে প্রাণ দিতে হচ্ছে মফস্বলের অনেক নিরক্ষর জনগনের। জনগন এই ব্যাপারে  স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen − three =