গত ০৯ মার্চ ২০১৯খ্রি, রাত অনুমান ০৮.৩৫ টায় হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইট সংলগ্ন নুসরাত টাওয়ারের ৭ম তলায় অবস্থিত হাটহাজারী ও ভুজপুরের বিকাশ ডিলারের ফিন্যান্স ম্যানেজার মোঃ সাইফুল ইসলাম@ টিপু(৩৮) তার কর্মস্থল মিজাব এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠান হতে ব্যাগভর্তি ৭৭,০০,০০০/- (সাতাত্তর লক্ষ) টাকা নিয়ে ফটিকায় ভাড়া বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
বাসার গেইটে পৌঁছা মাত্র পূর্ব হতে উৎপেতে থাকা সংঘবদ্ধ ও পেশাদার ছিনতাইকারী চক্র তার চোখেমুখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজিযোগে পালিয়ে যায়। হাটহাজারী থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিএনজি চালক মোঃ সালাহউদ্দিন@ সরোয়ারকে ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি চট্টগ্রাম-থ-১৩-১৪৩৫সহ আটক করে। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-১১/০৩/২০১৯খ্রি: ধারা-৩৯৪ দ: বি: রুজু করত: মামলার তদন্তভার এসআই মো: আবুল বাশার এর উপর ন্যাস্ত করা হয়। গ্রেফতারকৃত সিএনজি চালক সালাহউদ্দিন@ সরওয়ারের প্রদত্ত তথ্য ও প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: আবুল বাশার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হাটহাজারী সার্কেল আব্দুল্লাহ আল মাসুম এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ, হাটহাজারী মডেল থানা, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) এবং অন্যান্য অফিসার-ফোর্সসহ লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম, চট্টগ্রাম মহানগর, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, সাতকানিয়া এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। সাঁড়াশি অভিযানে ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারী চক্রের আরো ৪ সদস্য যথাক্রমে: ১। জসিম উদ্দিন@ বকতিয়ার ২। মোঃ আমির হোসেন@আমিরা ৩। রাসেল@ মানিক এবং ৪। লিয়াকত আলীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেল@ মানিক এর হেফাজত হতে অপহৃত ১১,০০,০০০/- (এগার লক্ষ) টাকা এবং ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চট্টমেট্রো-ল-১১-৭৫৫ উদ্ধার করা হয়। আসামী আমির হোসেন@ আমিরার হেফাজত হতে লুণ্ঠিত ১,৯০,০০০/- (এক লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত আসামী মো: সালাহউদ্দিন@ সরওয়ার, আমির হোসেন@ আমিরা এবং মো: জসিম উদ্দিন@ বকতিয়ারগণ বর্ণিত ঘটনায় জড়িত মর্মে স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। তদন্তকালে মামলার ঘটনায় জড়িত আসামীর সংখ্যা ৫ এর অধিক প্রতিয়মান হওয়ায় মামলাটিতে দন্ডবিধি ৩৯৫/৩৯৭/৪১২ ধারা সংযোজনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। মামলার ঘটনায় জড়িত অপরাপর পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আজ ১৯ মে ২০১৯খ্রি. দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম জনাব নুরেআলম মিনা, বিপিএম (বার) পিপিএম এঁর উপস্থিতিতে মিজাব এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী জনাব ফিরোজ খানের নিকট উদ্ধারকৃত ১২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা হস্তান্তর করেন হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন)এ কে এম এমরান ভূঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) জনাব মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হাটহাজারী সার্কেল, জনাব আব্দুল্লাহ-আল-মাসুমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।