একুশে পদকপ্রাপ্ত সঙ্গীতগুরু খালিদ হোসেনের ইন্তেকাল

2
816

নজরুলসঙ্গীতের বরেণ্য শিল্পী, গবেষক, স্বরলিপিকার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সঙ্গীতগুরু খালিদ হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

 

গত রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তিনি ইন্তেকাল করেন। খালিদ হোসেনের ছোট ভাই মাহমুদ হোসেন জানান, খালিদ হোসেনের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। কিছু দিন আগে তার কিডনির জটিলতা বেড়ে যায়। ফুসফুসেও সমস্যা হচ্ছিল। পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা ছিল। তিনি বলেন, চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রতি মাসেই হাসপাতালে নেয়া হতো খালিদ হোসেনকে। তখন দুই-তিন দিন তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি থাকতেন। এবারও ৪ মে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা আর ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত এখানে তিনি মারা যান। খালিদ হোসেনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর। তখন তারা ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে। দেশ বিভাগের পর মা-বাবার সাথে তিনি চলে আসেন কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ায়। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে ঢাকায় ছিলেন। নজরুলসঙ্গীতের শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন দীর্ঘ দিন। দেশে ও বিদেশে রয়েছে তার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। তিনি একুশে পদক পেয়েছেন ২০০০ সালে। এ ছাড়া পেয়েছেন নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা। খালিদ হোসেনের গাওয়া নজরুলসঙ্গীতের ছয়টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। আরো আছে একটি আধুনিক গানের অ্যালবাম ও ইসলামী গানের ১২টি অ্যালবাম। খালিদ হোসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে সঙ্গীত নিয়ে প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × three =