বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ে ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয় না। একদিকে দালালদের দৌরাত্ম্য অন্যদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাহীন ঘুষ বানিজ্যে দিশেহারা হয়ে উঠেছে গ্রাহকরা।
ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযান রেজিষ্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ সর্বক্ষেত্রে এ কার্যালয়ে দালাল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ বানিজ্যের এক প্রকার প্রতিযোগিতা চলে। কার্যালয়টির অনিয়ম-দুর্নীতি যেন দেখার কেউ নেই..! একাধিক গ্রাহক, শো-রুম মালিক এবং ভুক্তভোগী জানান, মোটরযান এনডোর্সমেন্ট, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফেকেট, স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযানের শ্রেণী পরিবর্তন বা সংযোজন/ ধরণ পরিবর্তন / অন্তর্ভুক্তি / পিএসভি / তথ্য সংশোধন, ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেট, রুট পারমিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে যে কোন কাজ করতে গেলে দিতে হবে ঘুষ। কার্যালয়টির সামনে ছদ্মবেশী দালাল আর ভিতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাহীন ঘুষ বানিজ্যে দিশেহারা হয়ে পড়ে গ্রাহকরা। শুধু তাই নয় দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার এ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিত্যদিনের সঙ্গি। লক্ষ্মীপুর একতা মোটরস্ কর্মচারী মো. বিপ্লব জানান, ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভুলে একটি মোটরসাইকেলের চেলসিস নাম্বারে আই (i) এর স্থানে ওয়ান (1) লেখা থাকায় লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন আমার কাছ থেকে ১২ হাজার ৫শ’ টাকা নেয়। এ কাজে তাকে সহযোগীতা করেন ওই প্রতিষ্ঠানটির মোটরযান পরিদর্শক জাহাঙ্গির আলম। হোন্ডা ফেয়ার ও রিদান মোটরস্ এর মালিক মো. রিপন বলেন, প্রতিটি মোটরসাইকেল নাম্বার করাতে লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেনকে ১২শ’ টাকা ঘুষ দিতে হয়। টাকা না দিলে বিভিন্ন তালবাহনা দেখান বিআরটিএ কার্যালয়ের এই কর্মকর্তা।