আজমিরিগঞ্জে ওসি নাজমুল হকের সততায় রক্ষা পেলেন আজমান মিয়া

1
625

মো: আহসানউল্লাহ হাসান:
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হকের সততায় ‘‘ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো ৬০ বছরের বৃদ্ধ আজমান মিয়া’’। আজমান মিয়ার দায়েরকৃত অপহরন মামলার আসামী আলমাছ বাহিনী তাদের নামের মামলা তুলে নেয়ার জন্য আজমান মিয়াকে ইয়াবা মামলায় ফাসানোর জন্য চেষ্টা করে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন ওসি নাজমুল হকের সততার কাঠগড়ায়। এঘটনায় স্থানীয় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং সেই সাথে পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি বেড়ে গেছে।


জানা গেছে, ২০১৬ সালে স্থানীয় ভুমিদস্যু মনোয়ার আলীর পরিকল্পনায় আলমাছ বাহিনী আজমান মিয়ার জমি দখল নেয়ার প্রানপণ চেষ্টা করে। অত:পর আলমাছ বাহিনী আজমানের ছেলে নাজমুল হাসান (১৪) অপহরন করে অন্তত দুই বছর গুম করে রাখে। এঘটনায় আজমান মিয়া নানা নির্যতনের মধ্য দিয়ে আলমাছ বাহিনীর নামে অপহরন মামলা দায়ের করে। ওই সময়ে দায়িতে থাকা আজমিরিগঞ্জ থানার ওসি অহিদুর ইসলাম, এসপি বিধান ত্রিপুার সমন্বয়ে পুলিশ ও সিআইডি মিলে পর্যায়ক্রমে ৩ বার আদালতে রিপোর্ট প্রদান করে যে, আজমান মিয়াই তার ছেলেকে লুকিয়ে রেখে মিথ্যা মামলা দাযের করেছে। কিন্তু বারবারই আজমান মিয়া আদালতে নারাজি দেয়। কিন্তু দুই বছর পরে সর্বশেষ মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই কর্মকর্তা এসআই মাঈনুল ইসলাম। এসআই মাঈনুল ইসলাম মামলাটি তদন্তের দুই মাসে মাথায় অপহৃত নাজমুলকে আসামী আলমাছ গংয়ের নিকট থেকে উদ্ধার করে আসামীদের নামে চুড়ান্ত রিপোর্ট দেয়।

এই ঘটনার জের ধরে ২ জুন-২০১৯ রোববার বেলা ১১ টার দিকে ভুমিদস্যু আলমাছ গং আজমান মিয়াকে হয়রানীমুলক মিথ্যা মামলায় ফাসানোর পরিকল্পানায় লাভলু নামের এক যুবক ব্যবহার করে আজমান মিয়ার মাইক সার্ভিসিংয়ের দোকানের ভিতর সিগারেটের প্যাকেটে করে ইয়াবা রেখে পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশকে খবর দিয়ে আজমানের স্ত্রী আর্জিনা বেগমের সাথে কথা বলার ছলে অপেক্ষা করতে থাকে এবং পুলিশ আসা মাত্র লাভলু তাদেরকে ইয়াবার প্যাকেটটি দেখিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় আজমানের স্ত্রী আর্জিনা বেগমে লাভলুকে পাকড়াও করে ধরে ফেলে। লাভলু পলিশের সামনে পালানো সুযোগ পায়না। পরে পুলিশ আজমান মিয়া ও লাভলুকে থানা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে লাভলু তার অপরাধের কথা স্বীকার করে পরিকল্পনাকারী আলমাছ মিয়া সহ তার সহযোগিদের নাম ওসি নাজমুল হকের কাছে বলে দেয়। অত:পর ওসি নাজমুল হাসান ঘটনার মুলহোতা আলমাছকে গ্রেপ্তার করেন।


এব্যাপারে ওসি নাজমুল হাসান বলেন, আজমানের মতো একজন নিরপরাধ মানুষকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আলমাছ গং জঘন্যতম অপরাধ করেছে। যার কোন ক্ষমা নেই। এঘটনায় একজন অপরাধীকেও ছাড় দেয়া হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten + 7 =