Site icon Aparadh Bichitra

এ কে খন্দকারের ক্ষমা চাওয়া ইতিবাচক : ড. হাছান মাহমুদ

অবি ডেস্ক: সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের ক্ষমা চাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নিজের লেখা বইয়ের কিছু তথ্য প্রত্যাহার করে সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকারের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবেই আমরা দেখছি।’

তবে এই লেখা প্রত্যাহার না করার জন্য এ কে খন্দকারকে যারা চাপ প্রয়োগ করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা তাঁকেই (এ কে খন্দকার) নিতে হবে বলেও জানান হাছান মাহমু্দ। আজ রোববার আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে দলের প্রচার উপকমিটির বৈঠকে এসব কথা বলেন। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিক পালনে করণীয় নির্ধারণ করার বিষয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘তাদের এই আন্দোলন অতীতেও চোখে পড়েনি, ভবিষ্যতেও মাঠে গড়াবে না।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের শেষে ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন। ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ নামক বইটিতে এমন তথ্য দেওয়ার জন্য প্রায় পাঁচ বছর পর জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সহ-অধিনায়ক অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল ও সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার বীর উত্তম। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কে খন্দকার জাতির কাছে এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

প্রায় পাঁচ বছর পর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কে খন্দকার বলেন, ‘এই অসত্য তথ্যের দায়ভার আমার। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে কখনোই ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দ দুটি বলেননি। আমি তাই আমার বইয়ের ৩২ নম্বর পৃষ্ঠার উল্লেখিত বিশেষ অংশ সংবলিত পুরো অনুচ্ছেদটুকু প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার আরো বলেন, ‘একই সাথে আমি জাতির কাছে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার ক্ষমা চাচ্ছি। গোধুলী বেলায় দাঁড়িয়ে পড়া সূর্যের মতো আমি আজ বিবেকের তাড়নায় দহন হয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মার কাছে, জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আশা করি, প্রথম প্রকাশই আমার বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠার বিতর্কিত অংশটুকু বাদ দিয়ে পুনর্মুদ্রণ করুন।’

ফরিদা খন্দকার বলেন, ‘বেশ কিছু লোক এসেছিল। কয়েকদিন ধরে তারা আমাকে বাহানা দিয়ে রেখেছিল। যেন এটা সংশোধন করা না হয়।’ মুক্তিযুদ্ধের সহ-অধিনায়ক অবসরপ্রাপ্ত এয়ারভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমের লেখা ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ বইটি প্রথমা প্রকাশন ২০১৪ সালের আগস্টে প্রকাশ করে। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ শেষ করেছিলেন ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে। বইটিতে এমন তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর পরই এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এ কে খন্দকারকে যারা এ ভুল সংশোধনে বাধা দিয়েছে, তাদের বিরেুদ্ধে তিনি এখন আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি।’