ওআইসির নেতাদেরকে মুসলিম বিশ্বের দায়িত্ব নিতে হবে : ইমরান খান

1
794

ওআইসি’র সম্মেলনে ইমরান খান পশ্চিমা দেশগুলোতে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

আজ শনিবার (১ জুন) পবিত্র শহর মক্কাতুল মোকাররমায় অনুষ্ঠিত ওআইসি’র ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া নিজ বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ওআইসির নেতাদেরকে মুসলিম বিশ্বের দায়িত্ব নিতে হবে, বিশেষকরে যখন কেউ আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননা করে গালি দেয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যে আমাদের ভালোবাসা ও অনুভূতি রয়েছে সেটা অন্যান্য দেশের কাছে প্রকাশ না করতে পারা ওআইসির একটি ব্যর্থতা। ইমরান খান বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসলাম বিদ্বেষ চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইসলামের সৌন্দর্যগুলো কি আমরা পশ্চিমাবিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারিনা? বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মুসলমান রয়েছে। অবশ্যই তাদের এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উন্নত বিশ্বে এগিয়ে যেতে মুসলিম বিশ্বকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি তে এগিয়ে আসতে হবে।

শিক্ষার খাতকে আরো উন্নতশীল করতে হবে। মানসম্মত শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে হবে। একসময় মুসলমানরা শিক্ষায়, জ্ঞানে অনেক এগিয়ে ছিল। আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য চিন্তাভাবনা না করলে তাদের পিছিয়ে পরার ভয় করছি।

তিনি বলেন, কাশ্মীর, ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করে। পাকিস্তান দুদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। আমরা সমর্থন করি যে পুর্ব জেরুসালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী। তিনি আরো বলেন, কাশ্মীরের জনগণের আত্মনির্ধারনের অধিকার থাকতে হবে। মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সংঘটিত সকল অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের এক শরীর হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।

রোজা ভঙ্গকারীদের ধরতে রাঁধুনি বেশে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালয়েশিয়ার গোয়েন্দারা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক পবিত্র রমজান মাসে যে সমস্ত মুসলিম রোজা রাখছেন না তাদেরকে ধরার জন্য মালয়েশিয়ার বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তা রাঁধুনি এবং খাদ্য পরিবেশনকারীর ছদ্মবেশ ধারণ করেছেন।

মালয়েশিয়ায় যেসমস্ত মুসলিমরা রোজা রাখছেন না তাদের কে আইনের আওতায় আনার জন্য নেয়া কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশটির ৩২ জন সরকারি কর্মকর্তা স্থানীয় বিভিন্ন খাদ্য বিপণিতে ছদ্মবেশে অবস্থান করছেন।

দেশটির ‘New Straits’ ‘Times newspaper’ সহ বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য দিয়েছে। ইসলামি আইন অনুযায়ী একজন মুসলিম কে পবিত্র রমজান মাসের দিনের বেলায় রোজার অংশ হিসেবে অবশ্যই সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত উপবাস থাকতে হয়, কিন্তু গুরুতর অসুস্থতা সহ বিশেষ কিছু কারণে ভাঙ্গার অনুমতি রয়েছে।

মালয়েশিয়ার দক্ষিণের রাজ্য জোহোর এর সেগামাত ডিস্ট্রিকে পবিত্র রমজান মাসে রোজা না রাখা মুসলিমদের হাতে নাতে ধরার জন্য নিয়োজিত দলটির মধ্য থেকে দুজন কর্মকর্তা কে রন্ধন শিল্পীর ছদ্মবেশ বেছে নিতে বলা হয়েছে যারা ফ্রাইড নুডলসের মত স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিশ তৈরীতে পারদর্শী।

সেগামাত মিউনিসিপাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মাসনি ওয়াকিমান বলেন, ‘আমরা এই কাজের জন্য বিশেষ কাজে পারদর্শী কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছি যারা তাদের কাজের অংশ হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তারা এমন ভাবে ইন্দোনেশিয়ান এবং পাকিস্তানি সূরে কথা বলেন যাতে করে ক্রেতারা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় যে, তাদেরকে রন্ধন শিল্পী এবং খাদ্য পরিবেশক হিসেবেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’ তবে খাদ্য বিপণি সমূহে নিয়োগ দেয়া বেশিরভাগ কর্মকর্তাই দেশটিতে অভিবাসী হয়ে আশা কর্মী।

মুহাম্মাদ মাসনি বলেন, কর্মকর্তারা যখন দেখেন দিনের বেলায় কোনো মুসলিম খাদ্যের জন্য ফরমায়েশ দিচ্ছেন তখন তারা ক্রেতাদের অজান্তে তাদের আলোকচিত্র ধারণ করে রাখেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এসমস্ত আলোকচিত্র স্থানীয় ধর্মীয় বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার আইন ব্যবস্থায় দুধরনের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এর একটি হচ্ছে গতানুগতিক আইন আরেকটি হচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে মুসলিমদের জন্য ইসলামিক আইন। উদাহরণ সরূপ দেশটির জোহোর রাজ্যে যেসমস্ত মুসলিম পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখছেন না তাদের কে ইসলামি আইন অনুযায়ী ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বচ্চ ২৪০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়।

মালয়েশিয়ার ৩২ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ জাতিগত ভাবে মালয় মুসলিম এবং দেশটিতে একই সাথে চীন ও ভারতীয় অনেক জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যালঘুরা বসবাস করে যারা সাধারণত ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 + 9 =