Site icon Aparadh Bichitra

কোরআন-হাদিস অনুযায়ী সবার চলা উচিত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অবি ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রত্যাবাসনসহ নানা বিষয়ে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হতে না পারার বিষয়টিকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, কোরআন- হাদিসে আমাদের যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী আমাদের সবার চলা উচিত। রোববার (৯ জুন) বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। কথাগুলো ওআইসি সম্মেলনে তুলে ধরেছেন বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেহেশতে যাওয়ার আগ্রহে এখন অনেক তরুণ বিভিন্ন উগ্রবাদি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এটি অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মনে হয় মানুষকে মারতে পারলেই বেহেশতের দিকে দু কদম এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এভাবে মারা গিয়েছে তারা কি কেউ বেহেশত থেকে এমন ম্যাসেজ পাঠাতে পেরেছে যে আমরা খুব আরামে আছি?

শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় ধারণা করা হতো শুধু কওমি মাদরাসার ছেলেরাই এসব কাজের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এখন কী দেখা যাচ্ছে? ইংলিশ মিডিয়ামসহ বিত্তশালী ছেলেরাও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে যাচ্ছে। কাজেই এগুলোর বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।

ওআইসি সম্মেলনে শেখ হাসিনা মুসলমানদের নিজেদের মধ্যকার জাতিগত দ্বন্দ্ব-সংঘাত বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জানিয়ে বলেন, মুসলমানদের নিজেদের এমন সংঘাতে জড়িয়ে কাদের লাভ হচ্ছে? এর ফলে লাভবান হচ্ছে কেবল অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। আমরা (মুসলিমরা) নিজেরাই বিশ্বের মধ্যে বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধরত রয়েছি আর মুনাফা লুটছে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। রণক্ষেত্র হচ্ছে মুসলিম দেশগুলো। রক্ত ঝরছে মুসলমানদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার তরীকা ভালো আর কার তরীকা ভালো নয়, এটি আমরা নির্ধারিত করতে পারি না। তাই এসব দ্বন্দ্ব থামাতে ওআইসিকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এ দাবিটা সবসময় আমি ওআইসিতে করে আসছি এবং করে যাবো। কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ছাড়া কারো কাছে আমরা মাথানত করি না। আমার বাবাও করেন নাই।