ধর্ষণের এক মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রস্তুত করে যথাযথ সময়ে প্রতিবেদন (মেডিকেল রিপোর্ট) না দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চিকিৎসককে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
রংপুর মেডিকেল কলেজের প্রভাষক সোহেলী সুলতানাকে আগামী ১০ জুলাই হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। মামলার এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে বিলম্বে মেডিকেল রিপোর্ট দেয়ার বিষয়টি নজরে আসার পর মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার আসামি সাকেরুল ইসলামের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ‘চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। ২ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। অথচ কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ১ এপ্রিল দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হওয়ার পর সাকেরুল গত ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।’
জামিন আবেদনে দাবি করা হয়, কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্টে জোরপূর্বক ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় আদালত মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে আজ আদালতে হাজির হতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এ অনুযায়ী আজ মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল করেন। ওই জামিনের শুনানিতে এসব পর্যালোচনা করে আদালত ওই আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের হারগাছা থানা এলাকায় ১৫ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় ২ মার্চ কিশোরীর মা নিহারা বেগম হারগাছা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় ৩ মার্চ সাকেরুল ইসলামসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।