ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। অনেকেরই হয়তো ওই পরিস্থিতির কথা সেভাবে খেয়াল নেই। ৩২২ রানের পাহাড়সমান সংগ্রহ তাড়া করতে গিয়ে যে সাকিব দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ম্যাচ শেষে স্বভাবতই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সাকিবই থাকবেন, এটা বেশ স্বাভাবিক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৩ উইকেটে ২৪২। ইনিংসের তখনও ১০.৩ ওভার (৬৩ বল) বাকি। পাওয়ার হিটারের দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য শেষ ১০ ওভারে ১০০-১২০ রান তোলাটা কোনো ব্যাপারই ছিল না। সেক্ষেত্রে পুঁজিটা কত দাঁড়াতো? ৩৪২ থেকে ৩৬২। ম্যাচের ফল তখন কি হতো? বলা মুশকিল।
তবে অনেকেই ভুলে গেলেও মাশরাফি বিন মর্তুজা ভুলে যাননি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন, ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ম্যাচটি ঘুরিয়ে দিয়েছেন আসলে মোস্তাফিজুর রহমানই।
৪০তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান যখন ৩ উইকেটে ২৪২, তখনই বাঁ হাতের খেল দেখিয়েছেন মোস্তাফিজ। ওই ওভারে তিন বলের ব্যবধানে সিমরন হেটমায়ার আর আন্দ্রে রাসেলকে ফিরিয়ে দেন কাটার মাস্টার। হেটমায়ার তখন রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছেন, ২৫ বলেই করে ফেলেছেন ৫০ রান। আর আন্দ্রে রাসেল উইকেটে টিকতে পারলে কি হতে পারতো, সেটা সবারই জানা। এই রাসেল আউট হন শূন্যতে।
এখানেই শেষ নয়, ৪৭তম ওভারে এসে সেট ব্যাটসম্যান শাই হোপকেও ফিরিয়েছেন এই মোস্তাফিজ। ৯৬ রানে থাকা হোপ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেললে মারকাটারি চেহারায় হাজির হতেন নিঃসন্দেহে। সবমিলিয়ে মোস্তাফিজের হাত ধরেই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। তাতেই আসলে ক্যারিবীদের রান সাড়ে তিনশো হয়নি।
মোস্তাফিজের ওই ওভারকে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট উল্লেখ করে জয় নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘মোস্তাফিজের ওই দুই উইকেট নেয়াটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। সাকিব দলের জন্য সবসময়ই করে, প্রতি ম্যাচেই সে এসে অবিশ্বাস্য কিছু উপহার দেয়। আশা করছি, অন্যরাও তার সঙ্গে যোগ দেবে। গত দুই ম্যাচে মুশফিকুর ভালো ব্যাটিং করেছে, আজ (সোমবার) লিটন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। সাধারণত সে উপরের দিকে ব্যাট করে, তার জন্য পাঁচে খেলা কঠিন ছিল, তবে সে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে এবং দেখিয়ে দিয়েছে।’