Site icon Aparadh Bichitra

রাজধানী খিলক্ষেতে গাড়ি চালকের উপর হামলা

স্টাফ রির্পোটার:
রাজধানী খিলক্ষেতে গাড়ি চালক জুয়েল কাজীর উপর হামলা হয়েছে। পাওনা টাকার জের দরে এই হামলা হয়েছে বলে জানাযায়। ঘটনার বিবরণ ও মামলা সূত্রে জানাযায় জুয়েল কাজী (২৪) পিতা: মৃত-মুন্তাজ কাজী এর সাথে মহিম গাজী গং দের কুড়িল বিশ্বরোডে যৌথ মালিকানায় একটি গাড়ির গ্যারেজ আছে। অপর দিকে হামলার শিকার জুয়েলের আছে রেন্ট এ কারের ব্যবসা। এই ব্যবসার সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় জুয়েল কাজী গাড়ি মেরামতের জন্য মহিমের গ্যারেজে কাজ করাতো। মহিম গাজীর গ্যারেজের সংস্কার বাবদ জুয়েলের নিকট থেকে ২,৭৫০০০ হাজার টাকা ধার হিসাবে মহিম গাজী নিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলে টাকার জন্য জুয়েল মহিমকে বললে তালবাহানা শুরু করে মহিম একপর্যায়ে দুই লক্ষ প”াত্তর হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ প্রদান করে।

বাকী টাকার জন্য ইসলামী ব্যাংক হাজী ক্যাম্প শাখার দুইটি চেক প্রদান করে যাহার চেক নং-গঈঅ-৯৮৬৫৭৪৮ এবং গঈঅ-৯৮৬৫৭৫১ টাকার পরিমাণ এক লক্ষ পচাশি হাজার ও চল্লিশ হাজার তারিখ: ২৭/০২/২০১৮ইং ও ২৮/০২/২০১৮ ইং মোট দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা। উক্ত চেক ক্যাশ করতে গেলে ব্যাংক থেকে টাকা নেই মর্মে চেক দুইটি বাউঞ্চ হয়। এবার জুয়েল টাকা চাইতে গেলে মহিম গংরা টাকা দিবে না বলে সাব জানিয়ে দেয়। যে কারণে জুয়েল গত তাং-১২/০৩/২০১৮ ইং তারিখে দক্ষিন খান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং-৬৭৯, ১২.০৩.২০১৮ইং। সাধারণ ডায়েরির কথা শুনে মহিম গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মহিমের ব্যবসায়ীক পাটনারদের নিয়ে বিভিন্ন রকম ভয়ভিতী ও হুমকি প্রদান করে, যে কারনে পরবর্তীতে খিলক্ষেত থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করে যার নং-১০০৪, তাং-১৯/০৫/২০১৮ইং। কিন্তু কোন সমাধান না হওয়ায় কোন উপায় অন্ত না দেখে জুয়েল বাদী হয়ে এন.আই এ্যাক্টের বিধান মতে মহিম গংদের ২৭/০৩/২০১৮ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশ করেন। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পর মহিম গংরা জুয়েলকে চেক ফেরত দেওয়ার জন্য হুমকি দামকি প্রদান করে এবং চেক দুটি ফেরত চায়।

পরবতীতে জুয়েল একটি পিটিশন মামলা করে মামলা নং ২৬৬/১৮ইং এবং ০৮/০৫/২০১৯ ইং তারিখে এন.আই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মহিম গাজীর বিরুদ্ধে মামলা করে মামলা নং-৭১/২০১৮ যে মামলা বর্তমানে চলমান আছে। মহিম গং দের বিরুদ্ধে মামলা করায় সুযোগ খুঁজতে থাকে কখন জুয়েলকে একা পাওয়া যায়। আর সে সুযোগ পেয়ে যায় মহিম গংরা গত-০১/০৬/২০১৯ ইং তারিখে। মহিমের দোকানের পাশে গাড়ির যন্ত্রাংশ ক্রয়করতে গেলে মহিম গংরা জয়েলকে মেরে রক্তাক্ত যখম করে। পরবর্তীতে জুয়েল তার এক বন্ধুর মাধ্যমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে, এই ফাকে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করেন মহিম, মামলা নং-৩/১০৫/১৯ তাং- ০১/০৬/২০১৯ইং উক্ত মামলায় জুয়েলকে গ্রেফতার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ আদালতে পাঠালে জুয়েলকে আদালত উক্ত মামলায় জামিন প্রদান করে। এব্যপারে জুয়েলের সাথে কথা বলে জানাযায় সে আসলে হয়রানির শিকার। টাকার জন্য সাধারণ ডায়েরি, মামলা করে ও আমাকে উল্ট গ্রেফতার হতে হয়েছে।

মহিম আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে তা বানোয়াট, কাল্পনীক ও ভিত্তিহীন। আমি সঠিক বিচার চাই এবং আমার কষ্টারঅর্জি অর্থ ফেরত চাই। অপর দিকে জুয়েলের মামলার বাদী মহিমকে মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নী। অনুসন্ধান চলছে আগামী সংখ্যায় থাকছে বিস্তারিত..।