Site icon Aparadh Bichitra

এই ছাত্র ইউনিয়ন, মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুকে বিরোধীতা করতো : শেখ সেলিম

মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করতো বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তৎকালীন মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করতো। কত বড় নির্লজ্জ তারা। জনগণের সামনে বঙ্গবন্ধু উপাধী দিল অথচ পরে বঙ্গবন্ধু বলে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রবিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় শেখ সেলিম বলেন, ‘এই ছাত্র ইউনিয়ন, মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুকে বিরোধীতা করতো। মতিয়া গ্রুপ.. মতিয়া গ্রুপ বিরোধীতা করত না। কিন্তু এনএসএফ প্রথমে বিরোধীতা করেছে, পরে করে নাই। মেনন-মতিয়া গ্রুপ এদের সবাইকে মিলেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সেই পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু উপাধী দেন। জনগণের সামনে ওয়াদা করে তারা বঙ্গবন্ধু উপাধী দিল, কত বড় নির্লজ্জ পরে তারা বঙ্গবন্ধু বলে না। ষড়যন্ত্র। পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে শেষ করা যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে বাংলাদেশের জাতির পিতা সাজতে চায়। এরা কোথায় ছিল? ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন, সেখানেই বাংলাদেশ নামটা দেন।’

আ’লীগ এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান কে ছিলেন, ‘আমার কাছে প্রমাণ আছে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা আসলাম বেগ চিঠি লেখেন। সেই চিঠি আমার কাছে আছে। যে লোক দেশের জন্য যুদ্ধ করে তার কাছে পাক সেনা চিঠি লিখে বলতে পারে তুমি ভালো কাজ করছো। তোমার জন্য পরবর্তি উপহার অপেক্ষা করছে। তুমি তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হইও না। জিয়া ছিল পাকিস্তানি এজেন্ট। জিয়ার পরিবার পশ্চিম পাকিস্তানে করাচিতে বসবাস করতো। পিতামাতার মৃত্যুর পর পকিস্তানে কবর দেয়া হয়। এখানে কোনো দিন তারা আসে নাই। গণঅভ্যত্থানের সময় বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে আইস এর কর্মকর্তা হিসেবে তাকে ঢাকায় পোস্টিং দেয়া হয়। আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া একই তো।’

সেলিম আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার বিচারে শিমলা চুক্তি হয়। সেই শিমলা চুক্তিতে ১৯৩ জন পাক সেনা কর্মকর্তার বিচার হওয়ার কথা ছিল, যেটা পাকিস্তানের করার কথা ছিল। অথচ ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধী জানযুয়া মারা গেলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শোক বার্তা পাঠায়। কী মহব্বত, এমনকি তিনি যখন পাকিস্তান সফরে যান তার কবর পর্যন্ত জিয়ারত করেন। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে যে ক্ষতি করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।’

এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কোনো মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতাকামী মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে পারে? স্বাধীনতা বিরোধীরা কোথাও রাজনীতি করতে পারে? তারা পালিয়ে বেড়ায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের দেশে তারা রাজনীতি করে।’