Site icon Aparadh Bichitra

কুড়িগ্রামে ভূমিষ্টের ৪ঘন্টা পর ১৫ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রয় করলেন অসহায় মা

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ চার ঘন্টা বয়সের শিশু সবুরের কি ছিলো অপরাধ. ভূমিষ্টের পর মা জননীর বুকের দুধ পান করার আগেই ১৫ হাজার টাকাতে বিক্রয় করলেন অসহায় মা সখিনা। এমন. মর্মান্তিক অসহায় ঘটনাটি ঘটেছে. কুড়িগ্রাম জেলার. রৌমারীতে অভাবের তারোনায় ডেলিভারীর চার ঘন্টা পূর্বেই ১৫ হাজার টাকাতেই শিশু সবুরকে বিক্রয় করলেন অভাবী মা.। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝর বইতে শুরু করেছেন। এই ঘটনাটি .কুড়িগ্রাম জেলার. রৌমারী উপজেলাধীন যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর চরের গ্রাম নামক স্থানে ঘটেছে । এবিষয়ে অভাবী মা সখিনার নিকট জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে পারেনা তবুও আস্তে আস্তে একটু করে বললেন পৃথিবীতে আমার কেউ নাই । সখিনার মা সামসুন্নাহার জানান মেয়াডার তিন চার খানে বিয়ে স্বাধী দিছিলাম কোনহানেই সংসার করার ভাগ্য হয় নাই হেই জন্যে বাচ্চাডারে বেইছা হালাইছি। তবে কত টাকায় বিক্রয় করলেন জানতে চাইলে সখিনার মা মোছাঃ সামসুন্নাহার. জানান. বাবা মেলাডী টেহা পাইছি.কত টাকা জানতে চাইলে তিনি বলে. ১৫ আজার টেহা দিছে বাবা মেলাদিন খাওয়া হামু। পরে মা সখিনার কাছে জানতে চাইলে বলেন. আমার ঘরে আদা কেজি চালও নাইকা হেই জন্য
১৫০০০ হাজার টেহায় পাশের গ্রামের মোতলেব এর কাছে বেইছা হালাছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি আমার বাবারে একটান.দুধ খাওয়াবার সময়ডাও পাইনাই তার আগেই বাচ্চাডা জোর কইরাই নিয়া গেছে।

সখিনার বড় ভাই ছাইফুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানায়. আমি বাড়ীতে আছিলাম না পরে আইসা হুনি বাচ্চা বেইছা হালাইছে এ নিয়ে আমি রাগারাগি করতাছি। সরকার দরিদ্রদের পিছনে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করছেন শুধু দারিদ্রতা দূর করার জন্য এতো টাকা খরচ হয় তারপরেও এতো অভাব কেন। তখন ওই অসহায় সখিনা বলেন ভাই আপনি কি কোন এই মেম্বার. চেয়ারম্যানগর কাছে কত গেলাম একটা নামের জন্যে দেয় না। আরও কয় টেহা ছাড়া নাম আছে তহন আর পাইনা টেহাও নাই নামও নাই। সে আরও বলেন কোনকালে বাবা মইরা গেছে মার একটা ভাতা কইরা চাইছিলাম .তাই দেয় না.মা তো কানে হুনেনা ধরা যায় হে একজন প্রতিবন্দী টেহা দেয় না দেইহা নামও দেয় না। অসহায় সখিনার সখিনার সর্বশেষ দাবী শিশুটিকে ফেরত পেতে চায়. কিন্তু ক্রয় করা শিশুর মালিক মোতলেব তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেছেন বলে ওই অসহায় নারীর অভিযোগ।

এদিকে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্বীপংকর রায়কে যোগাযোগ করে জানানোর চেষ্টা করলে তিনি রিসিফি করেননি। পরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক শাহানাজ পারভীনকে জানানো হয় তিনি বলেন আমাকে বার্তা পাঠান আমি দেখছি. পরে তার মোবাইলে একটি বার্তা পাঠানো হয়। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুসামা তার সঙ্গে কথা হলে তিনি শিকার করে বলেন, কেন এমনটা করল আমি জানিনা। ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেননা বলে জানান।

রৌমারী থানাঃ ইনচার্জ হাসান এনাম বলেন, আপনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তারপর উনি কি বলে।