অবি ডেস্ক: আরো দশটা সুস্থ্য মানুয়ের মতোই সুস্থ জীবন পাওয়ার আশায় ধুঁকে ধুঁকে প্রহর গুণছে চাদঁপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপাদিক গ্রামের মরহুম ওসমান আলী তপদারের ছেলে গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধা মো: রুহুল আমিন তপদার। বৃদ্ধ জীবনে সুস্থ্যভাবে বেচে থাকাটাই যেন জীবনে একমাত্র চাওয়া। একমাত্র ছেলের সংসারে চরম অভাব অনটনের মধ্যে বিনা চিকিৎসায় দিন কাটছে রুহুল আমিনের।
জানা গেছে, দুরারোগ্য কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই শয্যাশায়ী। ফলে ঠিকমতো চলাফেরা আর ওঠাবসাও করতে পারেন না রণাঙ্গনের এই সূর্যসৈনিক। অর্থ ম্যানেজ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসরা। কিন্তু ঐ টাকা জোগার করতে তার একমাত্র ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন হিমশিম খাচ্ছেনা।
সরকারী হাসপাতাল গুলোতে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে গেলে একগাধা টেষ্ট ধরিয়ে হাতে। মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তার একমাত্র ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহুল আমিনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তার বাবার চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ করে এখন তিনি নিঃশ^। আরো অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার টাকাও এ মুহূর্তে পরিবারের কাছে নেই। তাই নিজের বাবাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা কামনা করেন।
রোগাকান্ত কণ্ঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বলেন, দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। দীর্ঘ দুই বছর ধরে কঠিন সময় পার করছি। সতীর্থদের কেউ খোঁজ নেননি।
বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহুল আমিনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। সংসারের সবাই আমার উপর নির্ভরশীল। তার উপরে বাবা চিৎিসার খরচ যোগাতে অনেক হিমশিম খাচ্ছি। মামনীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার আকুল আবেদন বাবার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করলে আমার বাবা সুস্থ্যজীবনে ফিরে আসবে।