সাংবাদিক মোজাম্মেলকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সুনামগঞ্জের সুধি,সমাজসহ সর্ব মহলে ক্ষোভ

0
769

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়া সম্প্রতি একটি আক্রোশমুলক ও পরিকল্পিত মামলায় আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনী। এনিয়ে এই সাংবাদিকের বিরোধীরা,সীমান্তের চাঁদাবাজ ও সাইবার সস্ত্রাসীরা অতিরঞ্জিত ও আক্রোশ মূলক ভাবে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এথেকে সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলাসহ জেলার ১১টি উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক সুধি সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সর্বস্থরের জনসাধারনের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া সম্পর্কে জানা যায়,সাংবাদিক মোজাম্মেল সাবেক সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসাবে মাইটিভি ও মানবকন্ঠ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। এর পূর্বে তিনি(মোজাম্মেল)দৈনিক মানবজমিন,নয়াদিগন্ত,জালালাবাদ পত্রিকায় তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কমর্রত ছিলেন। এখন তিনি সাংবাদিকতার পাশা পাশি মডেলিং ও মিউজিক ভিডিওসহ নাটক নির্মান করছেন এবং বাংলাদেশের চলচিত্র সমিতির সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন।


সাংবাদিক মোজাম্মেল সাংবাদিকতার শুরু থেকেই নিজ এলাকা তাহিরপুর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সীমান্তের মদ,গাজা,চোরাচালান,চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের বিরোদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার পত্রিকায় ও টিভিতে অপরাধের স্বচিত্র প্রতিবেদনসহ নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল যা আজাদ মিয়া(এডিস নিক্ষেপ মামলার বাদী ও ১০-১২বিভিন্ন মামলার আসামী) ও অপরাধিদের মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়ায়।

প্রসঙ্গক্রমে স্থানীয় বাসীন্দা শফিকুল ইমলামসহ অনেকেই জানান,সুনামগঞ্জ সীমান্তে মদ,গাজা,চোরাচালান,চাদাঁবাজিসহ একটি সিন্ডিকেটের বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের বিরোদ্ধে সোচ্চার থাকার জের ধরে তাহিরপুর উপজেলার চিহ্নিত ও আলোচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোষ্টারে আগুন দেওয়া,হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি কালী মূতি ভাঙ্গচুর,শিশুবলদকার,হুমকি,ইফটিজিং,সীমান্তে চাদাঁবাজী,জিডিএন্টিসহ গুলো মামলার আসামী তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের সুধি ব্যবসায়ী মৃত হাজী বদ মিয়ার ছেলে কথিত সাংবাদিক তার ছেলে সিহাব সারোয়ার শিপুর দুর্ঘটনা জনিত আগুনে পুড়ার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনার সাথে মিলিয়ে এসিড নিক্ষেপের নাটক সাজিয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১১কিলোমিটার দূর তাহিরপুর উপজেলা সদরে বসবাসকারী সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়াকে কথিত মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।


তারা জানান, কথিত এসিড নিক্ষেপ মামলার বাদী একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য মনগড়া সংবাদ পাঠিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সে সব সময় বর্তমান সরকার বিরোধী ও পুলিশ বিরোধী কার্যকমের সাথে জরিত। সে একাধিক বার পুলিশ প্রশাসনের ভার্বমূতি ক্ষুন্ন করার জন্য সুনামগঞ্জ জেলার সুনামধন্য জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খানসহ তাহিরপুর থানায় ওসি নন্দন কান্তি ধর,এসআই তপন,জালাল উদ্দিন,জামাল উদ্দিন,মুহিত মিয়া,এএসআই রেজাসহ কয়েকজনের বিরোদ্ধে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে। সুনাম নষ্ট করে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তাদের সাথে রয়েছে তার সুসম্পর্ক। তাই নিজ অবৈধ ক্ষমতায় যাচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে সে। তার বিরোদ্ধে কথা বলায় একাধিক বার সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ,সাংবাদিক পংকজদে,মোজাম্মেলের আলম ভূঁইয়া,রাজু আহমেদ রমজান,আমিনুল ইসলাম,আলম সাব্বিরসহ অনেকের বিরোদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে। সাথে সিন্ডিকেটের আরও কয়েকজন সহযোগী,সীমান্তের চাঁদাবাজ,সাইবার সস্ত্রাসীরাও একই কায়দায় অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও নিরিহ সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া ও রাজু আহমেদ রমজানের উপর হামলা চালায়। মামলা করে এই দুই সাংবাদিক এর পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে যায় সন্ত্রাসী আজাদ মিয়া ও তার সহযোগীরা। উল্টো সাংবাদিক রাজু আহমেদ রমজানের বিরোদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করে আজাদ মিয়া। পরে আদালত তা মিথ্যা প্রমানিত হয়। এর পর কৌশলে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াকে কথিত এসিড নিক্ষেপ মামলা দিয়ে ফাসিঁয়ে দেয়।
যার ফলে স্থানীয় সাংবাদিক সুধি সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলাবাসীর সচেতন মহল ও সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার নিরিহ পরিবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাংবাদিকগন জানান,কিছু দিন আগেও কথিত ওই সাংবাদিককে ইয়াবাসহ স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এছাড়াও সীমান্তে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বান্নী মেলা(হিন্দু সম্প্রদায়ের পুন্যার্থিদের মেলাও)লাকমা ছড়া,বড়ছড়া বাজারে মহিলা শ্রমিকদের হাতে গনধোলাইয়ের শিকার হয় বলে জানান তারা।
আজাদ মিয়ার বোন মুক্ত বেগম তার স্বামীর নিজ বাড়ির গৃহকর্মী নিয়ে এক ঘটনায় একজনকে হুমকি দিতে গিয়ে বলে,“যে ছেলে শিপুকে এসিড মারছে তাকে না ধরার জন্য তৎকালিন এসপি হারুনর রশিকে ১০হাজার টাকা দেয়।” যা অনেকেই শুনেছে এবং বিভিন্ন পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়। যা অডিও রেকর্ড সুরক্ষিত আছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসীন্দা সজিব,শফিকুল,রহিমসহ অনেকেই জানান,সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের বিরোদ্ধে সোচ্চার হয়ে তার পত্রিকায় ও টিভিতে সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল। এর কারনে তার উপর একাধিকবার হামলা করে আজাদ মিয়া ও তার সহযোগীরা। পরে সাংবাদিক মোজাম্মেল আইনের আশ্রয় নেয় ও মামলাও দায়ের করেন। কিন্তু কোন বিচার পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানান,যখন কথিত এসিড নিক্ষেপের ঘটনাটি ঘটে বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্ধ গ্রামের কলেজ রোড়ে আর সাংবাদিক মোজাম্মেল তখন অবস্থান করে ১১কিলোমিটার দুর তাহিরপুর উপজেলা সদরে। কিন্তু কথিত এসিড মামলার বাদী তার পরিকল্পিত কুট কৌশল দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য মামলায় নিরপরাধ সাংবাদিক মোজাম্মেলকে আসামী করে। তখন এলাকাবাসী মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল। পুলিশ প্রশাসনসহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীরা অবগত।


গত বুধবার নিখোঁজের ৩৬ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার বিকালে তার পরিবার জানতে পারে আটক করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার পরিবারের সদস্যগন জানান,আমরা প্রতিহিংসার শিকার। আজাদ মিয়ার অবৈধ ক্ষমতা ও টাকার কাছে আমরা কিছুই না। আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকি দিয়ে আসছে আর আগুনে পুড়ানোর ঘটনা সবাই জানে। কিন্তু আজাদ মিয়া এটাকে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এসিডের মামলা দায়ের করে। এখন মন গড়া সংবাদ প্রকাশ করছে। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার চাই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two + six =