Site icon Aparadh Bichitra

এলিও সরকারের অপকর্মের সীমা ছাড়িয়ে গেছে

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: নাম এলিও সরকার। ধর্মে একজন খৃষ্টান। তিনি একজন মুসলিম নারীকে বিয়ে করেন যার নাম শিউলি আক্তার। একটি সূত্রে জানায় শিউলি আক্তার এর স্বামী বাংলাদেশ রেলওয়েতে ড্রাইভার হিসেবে চাকুরি করতেন। সেই স্বামী বেশ কয়েক বছর আগে কমলাপুর থেকে ময়মনসিংহ ট্রেননিয়ে গেলে পরদিন সে মারা গেছে। এরপর তিনি খৃষ্টানধর্মী এলিও সরকারের সাথে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৫/৬ বছর কাওলায় বসবাস করে আসছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায় এলিও সরকারের স্থায়ী ঠিকানা ৮৭, উত্তর বনিকপাড়া, মেই রোড, ডাকঘর, কুয়েট, ৯২০৩ দৌলতপুর, খুলনা। অভিযোগ রয়েছে তিনি তার পরিচয় গোপন করে যে ঠিকানা ব্যবহার করছেন সেখানে তার প্রথম স্তারী লাকী ও তার দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন। তার প্রকৃত ঠিকানা খুলনা মোংল্লা সরকার বাড়ি,তার পিতার নাম সুবোল সরকার ,মাতার নাম আভা সরকার।

এলিও সরকার দীর্ঘ দিন যাবত গ্রাম থেকে হাবাগোবা সাধারন পরিবারের ছেলেদের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মোঠা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। গত কিছুদিন পূর্বে কাওলার জিডি ক্রাইম অনুসন্ধান নিউজ অনলাইন পত্রিকার অফিসে রাত ১২টা পর্যন্ত দেন দরবার হয় সেনাবাহীনীতে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার ব্যপারে। সেখানে তার কনিষ্ট সহযোগী ফজলু সহ ৭/৮ জন মিলে রাত্রের বেলায় এ নিয়ে অনেক জগড়া ও হয়।সাধারন মানুষকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।জিডি ক্রাইম অনুসন্ধান নিউজ এর মহাব্যবস্থাপক বরাবর গত ১৪/০১/২০১৯ ইং তারিখে উক্ত পত্রিকার ব্যবস্থপনা সম্পাদকএর দেওয়া এক লিখিত অভিযোগে দেখা গেছে তিনি উত্তরা নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষায় যারা পাস করতে পারে নাই তাদের ফরম পুরণ করার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৯০০০ টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু ফরম পূরণ করেত পারেন নাই। যারা তার কাছে ৯ হাজার করে টাকা দিয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন ভাবে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এধরনের প্রতারণার কারনে জিডি ক্রাইম অনুসন্ধান নিউজ থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে।

দুর্নীতি রিপোর্ট ২৪ ডট কম এর প্রকাশক আমিনুল ইসলাম শাহীন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এলিও সরকার কিছুদিন আমার পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন্ জেলায় বিভিন্ন প্রতিনিধির কাছে থেকে আইড কার্ড দেয়ার কথা বলে মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোদের ভিত্তিতে তাকে পত্রিকা থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এবং শিউলি আক্তার ও এলিও সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ ৫/৬ মাস কাওলার জমিদার বাড়ির আলামিনের বাড়ির গেটের দক্ষিন পাশের রুমে ভাড়া ছিলেন।

বর্তমানে সেখান থেকে বের হয়ে তার দক্ষিন পাশে জমিদারের বাড়ির ৬ তলার ছাদের উপর সিঙ্গেল একটি রুমে শিউলি ও এলিও স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে দীর্ঘ দিন যাবত ভাড়ায় আছেন,এ বাড়িতে তারা দুজন স্বমী-স্ত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ বাঢ়ায় রযেছেন বলে এলিওর সহযোগী ফজলু অপরাধ বিচিত্রাকে জানিয়েছেন। কাউলার শামসুল হক মাদরাসার সামনের দোকানদারদের কাছ থেকে জানা যায় তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রায় সময় সকাল -বিকেল কাওলা মন্দিরের পাশের ট্রান্সমিটার সংলগ্ন মাঠে পায়চারি করে বেড়ায়।

এ ব্যাপারে এলিওর বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তাৎক্ষনিক কোন বক্তব্য দেয়নি। পরে বক্তব্য দিবেন বলে জানান। তার কথিত স্ত্রী শিউলি আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদকের পরিচয় পাওয়ার পরই ফোন রেখ দেন। পুণরায় ফোন করলে তিনি তা আর রিসিভ করেন নাই।