Site icon Aparadh Bichitra

নারায়ণগঞ্জে আবারো একাধিক শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ : শিক্ষক আটক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ২০ এর অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আটকের ঘটনায় পুরো এলাকাতে সমালোচনার ঝড় বইছে। সেই ঘটনার কিছুদিন না যেতেই আবারো এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবারের অভিযুক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। ৪ ঠা জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মাহমুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আল-আমিন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মাহমুদপুর এলাকার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক।

তিনি ঐ এলাকার একটি মসজিদের ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। র‌্যাব-১১ এর করা সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কাজী শামসের উদ্দিন জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাই স্কুলের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষক আটকের সংবাদটি তাদের ফেসবুক পেইজে আপলোড করা হয়ে ছিলো। স্থানীয় একজন মহিলা ফেসবুকে ধর্ষণের ঐ সংবাদটি পড়ার সময় পাশে থাকা তার তৃতীয় শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তাকে অভিযোগ করেন। পরে তিনি বিস্তারিত জেনে আদমজী অবস্থিত র‌্যাব-১১ এর অফিসে এসে অভিযোগ করেন। এর পর র‌্যাব-১১ এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করেন।

জানা যায়, শুধু ঐ শিক্ষার্থীই নয় ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছরে দ্বিতীয় শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। অনেক শিক্ষার্থীদেরও যৌনহয়রানি করেছেন। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রাসার একটি কক্ষে স্বপরিবারে থাকতেন এবং ক্লাসরুমে ছেলে মেয়েদের পড়াতেন। তার স্ত্রী পর্দাশীল হওয়ায় শ্রেনী কক্ষে যেতো না। এই সুযোগে তিনি পড়তে আসা ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন কৌশলে রুমে এনে তাদেরকে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণ করতো।

শুধু তাই নয় পড়তে আসা কিছু ছাত্রীর ছবির মাথার অংশ পর্নোগ্রাফি ভিডিওর সাথে সংযুক্ত করে ছাত্রীদেরকে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করতো। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত বিষয় গুলো স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অধ্যক্ষের শাস্তি ও মাদ্রাসা বন্ধের দাবীতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।