রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিন সিটি প্রকল্পে ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বভাবিক ব্যয় নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বেশি তোলপাড় চলছে বালিশ নিয়ে। একটি বালিশ ক্রয় করা হয়েছে ৯ হাজার ৯৫৭ টাকায়।
প্রতিটি বালিশ ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৭৬০ টাকা। এদেশে একজন শ্রমিকের সারা দিনের শ্রমের মূল্য ৪০০ টাকার বেশি নয়। সেখানে একটি বালিশ কয়েক তলা ওপরে তুলতে খরচ বাবত ধরা হয়েছে ৭৬০ টাকা। এটাকে পুকুরচুরি না বলে সাগর চুরি বলাই সংগত। শুধু বালিশ নিয়েই নাটকের শেষ নয়।
একটি বৈদ্যুতিক চুলার দাম ধরা হয়েছে সাত হাজার ৭৪৭ টাকা। চুলা ওপরে উঠানোর খরচ প্রতিটি ছয় হাজার ৬৫০ টাকা। এভাবে বৈদ্যুতিক কেটলি, রুম পরিষ্কার মেশিন, ইলেকট্রিক আয়রন, টেলিভিশন, ফ্রিজ, খাট, বিছানা প্রতিটির আকাশচুম্বি দাম ধরা হয়েছে। এগুলো ভবনে তুলতে বিশালাকারের খরচ ধরা হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হয় দুর্নীতিতে আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা অন্ধ হয়ে গেছে।
সামান্য একটি বালিশ কিনতে নয় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের পুকুরচুরি নিয়ে দেশের মানুষ প্রতিবাদী না হলে এ ঘটনা স্বাভাবিক নিয়মে একদিন তামাদি হয়ে যেত। সবখানেই ম্যানেজ করার প্রবণতা লক্ষনীয়। এখানেও সহজেই ম্যানেজ করে ফেলতেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
এদেশে যারা বড় ধরনের চুরি করে তারা ধরা পড়ে না। কৃষক ১০ হাজার টাকা ঋন নিয়ে ফেরত দিতে না পারলে তাকে হাতকড়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ যারা শত কোটি টাকা ঋন নিয়েছে তাদেরকে আরও ঋন দেয়া হচ্ছে ও পুরষ্কৃত করা হচ্ছে।