Site icon Aparadh Bichitra

গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে সর্বত্র নেতিবাচক প্রভাব

আবাসিক ও বাণিজ্যিক সকল গ্রাহকের জন্য গ্যাসের দাম আরেক দফা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। দাম বৃদ্ধির পরিমাণ ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ। এক বার্ণার চুলার জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ৯২৫ টাকা এবং দুই বার্ণর চুলার জন্য ৯৭৫ টাকা।

গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি দেশের শিল্প খাতকে বির্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করছেন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর নেতারা। এই মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ জনগনের জন্য নতুন করে একটি চাপ সৃষ্টি করবে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে ও দেশে দুর্নীতি বাড়বে অস্বাভাবিক হারে। সাধারণ মানুষ মূল্য বৃদ্ধির এই ঘোষাণায় নিজেদেরকে অসহায় মনে করছে। এর ফলে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমে আসবে।

গ্যাসের সাথে সম্পর্কিত সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এর প্রভাব ভোক্তাদের সকল ক্ষেত্রে আঘাত করবে। ইতোমধ্যে বাড়িওয়ালারা ভাড়া বৃদ্ধির জন্য ভাড়াটিয়াদেরকে নোটিশ দিয়ে যাচ্ছে। গণপরিবহণে ভাড়া নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সড়ক মহাসড়কে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করে। বিএনপি দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভ ও মিছিল বের করে।

১ লা জুলাই থেকে বর্ধিত হারে গ্যাসের বিল প্রদান করলে ভোক্তাদের জন্য তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে না। দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। প্রকাশ, প্রতি বছর গ্যাসের প্রায় ৭ শতাংশ চুরি ও সিস্টেম লস হচ্ছে। এটা থামাতে পারলে গ্যাসের দাম না বাড়ালেও চলবে। কিন্তু এনর্জি রেগুলেটরি কমিশন সেদিকে নজর না দিয়ে অযৌক্তিক দাম বাড়িয়ে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে যা কাঙ্খিত নয়।

সরকারের প্রতি সাধারন মানুষের আস্থার সংকট সৃষ্টি হলে বিভিন্ন রাজনেতিক দলগুলো তার সুযোগ নিতে চাইবে। সরকারের উচিত এই সুযোগ সৃষ্টির কারনকে যথাসময় লাগাম ধরা। কারন কথায় বলে, ‘‘সময়ের এক প্রহর অসময়ের দশ প্রহর’। প্রবাদ বাক্যে আরও বলা হয়, “করণীয় যাহা আশু কর তাহা বিলম্ব উচিৎ নয়”। অযৌক্তি এই গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে সরকারকে অগেই এর পার্শপ্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিৎ ছিল। সাধারন জনগণকে অবহেলা করে কোন সরকার দেশ শাসনে সুফল বয়ে আনতে পারে নাই।