বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১ একর জায়গা

0
490

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)- এর উচ্ছেদ অভিযানের ৪১ তম দিনে বুড়িগঙ্গা তীরে আরো ১১৯টি অ-বৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১ একর জায়গা।

বুধবার বাবুবাজার ব্রিজ থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত নদীর উভয় তীর অভিযান চলে। একে একে ভেঙে দেওয়া হয় ১টি দোতলা পাকা ভবন, ৭টি ১ তলা পাকা ভবন, ১৫টি আধা পাকা ভবন, ৬৫টি টিনের ঘর ও ৩১টি দোকান।

অভিযানে ভাঙা স্থাপনা নিলামে বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা আদায় হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন। বৃহস্পতিবার শ্মশানঘাট হতে পাগলা অভিমুখে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ৩ জুলাই থেকে ৪র্থ পর্বের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটএ। এর আগে অভিযানের ১ম পর্যায়ের ১ম দিনে ১৯৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ ও ২ একর জায়গা উচ্ছেদ করা হয়। ২য় দিন ১৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উদ্ধার হয় দেড় একর জায়গা। ৩য় দিন ৮৮টি অ-বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে নদী তীরভূমির আরো দেড় একর জায়গা।

২য় পর্যায়ের ১ম দিন উচ্ছেদ হয়েছে ৪৭টি স্থাপনা এবং আধা একর জায়গা। ২য় দিনে উচ্ছেদ হলো আরো ১১৯টি স্থাপনা। এখন পর্যন্ত মোট ৪১ কার্যদিবসে মোট উচ্ছেদ হয়েছে ৪ হাজার ১৭৮টি স্থাপনা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামোড়া ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ।

৩ পর্বে ৫৩১টি পাকা ভবন, ৫৯৮টি আধা পাকা ভবন, ২৪৭টি সীমানা দেয়ালসহ ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৫৭৫টি অ-বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে নদীর ৯১ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ।

অভিযানে জরিমানার মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। উচ্ছেদকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে আরও ৫ কোটি ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।

অভিযানে বাধা দেওয়া ও নদী দখলের দায়ে ২২ জনকে আসামি করে ৬টি মামলাও হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − 5 =