মো: আহসানউল্লাহ হাসান:
ঢাকার ধামরাইয়ে শ্রী শ্রী যশোমাধবের ঐতিহ্যবাহী রথ মেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ও ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহার শেল্টারে লটারীর অন্তরালে চলছে রমরমা জুয়ার আখড়া। এতে লোভনীয় অফারের ফাঁদে আটকে নি:স্ব হচ্ছে নিম্নবৃত্ত পরিবারের লোকজন। আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় প্রতারক চক্র।
জানা গেছে , শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলাটি এবছর ১৩ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছে ধামরাই পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা তুষার। আর এই ১৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কয়েক কোটি টাকা আদায়ের একমাত্র মাধ্যম হলো মেলায় আসা দোকান, সার্কাস ও লটারী। যদিও লটারী সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। তারপরেও ৪ জুলাই থেকে ধামরাইয়ে শ্রী শ্রী যশোমাধবের এই রথ মেলা উদ্বোধনের পর থেকে প্রকাশ্যে পুলিশের উপস্থিতে চলছে লটারীর নামের জুয়া। এ দিকে প্রশাসনের সহযোগীতায় দৈনিক স্বপ্ন প্রদীপ র্যাফেল ড্রর নামে এই চক্রটি লটারীর টিকিট বিক্রি করে মেলা থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অপর দিকে মেলায় আসা সাধরন জনগন লটারীর টিকিট কিনে হচ্ছে সর্বশান্ত।
‘দৈনিক স্বপ্ন প্রদীপ র্যাফেল ড্র’ চক্রটি লটারীর মাধমে মোটরসাইকেল ,স্বর্নের চেইন, ফ্রিজ , গাভী গরু, দামী মোবাইল সেট সহ নানা ধরনের পুরুস্কারের লোভ দেখিয়ে সাধারন মানুষকে বোকা বানিয়ে লটারীর টিকিট বিক্রি করছে। প্রতিদিন অন্তত ৮০টি ভ্যান-অটো রিক্সা নিয়ে মাইক বাজিয়ে ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা সহ পাশ^বর্তী এলাকাগুলোতে এই টিকিট বিক্রি করা হয়। সুত্র জানায় প্রতিটি ড্র এর জন্য ২০ টাকা দামের কমপক্ষে ১ লাখ টিকেট বিক্রি করা হয়। আর জনগনকে দেয়া হয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দামের পুরুষ্কার। অর্থাৎ বেশী দামের কোন পুরুষ্কার দেয়া হয়না। বাকী টাকা স্থানীয় প্রশাসন, নেতাকর্মী ও লটারী সিন্ডিকেটের লোকজনকে ভাগবাটোয়ারা করে দিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছে মেলার ইজারাদার আমজাদ হোসেন ও তুষার।
এধরনের লটারী প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ হলেও দৈনিক স্বপ্ন প্রদীপ র্যাফেল ড্র সংঘটি বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসছে এই লটারী। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না, কারন তারা অনেক প্রভাবশালী এবং স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে তাদের পক্ষে। ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী এই রথ মেলায় লটারী চক্রটি প্রশাসনের শেল্টারে দীর্ঘ ২১ দিনব্যাপী চালাবে অবৈধ লটারী কার্যক্রম। যে কারনে প্রশাসনের উস্থিতিতেই চলছে লটারী কার্যক্রম। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।
এই অবৈধ লটারীর ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবুল কালামের সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, বিয়ষটি আমার জানা নেই। এমন কিছু ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, মেলাটি একটি ধর্মীয় ব্যাপার। এখানে অনেক কিছুই হতে পারে। লটারী একবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে অন্যায় কিছু হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী দাবী অবিলম্বে ধামরাই থেকে অবৈধ লটারীর কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছে ।