এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে আমরা ব্রাজিল রাশিয়ার মত বড় রপ্তানি বাজারে প্রবেশ করতে পারবো-বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি

0
714

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে নতুন বাজারে প্রবেশের চেষ্টা চলছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ^বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হবে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প রাতারাতি বর্তমান অবস্থায় আসেনি। খুবই স্বল্প পরিসরে তৈরী পোশাক শিল্প যাত্রা শুরু করেছিল। অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প আজ বিশে^র মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। আজ দেশের রপ্তানির প্রায় ৮৪ ভাগ আসে তৈরী পোশাক খাত থেকে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনা বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতকে ঘুড়ে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়েছে।

দেশে এখন অনেক অত্যাধুনিক তৈরী পোশাক শিল্প। গ্রীণ ফ্যাক্টরির সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। তৈরী পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ আজ অনেক শক্তিশালী। অনেক দেশে আমরা এ পণ্য রপ্তানি করতে পারি না। আমাদের পণ্য অন্যদেশ রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছে। মধ্যস্থতাকারীগণ লাভবান হচ্ছে। সে সব বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে। প্রচেষ্টা চলছে, আশা করি আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে আমরা ব্রাজিল-রাশিয়ার মত বড় রপ্তানি বাজারগুলোতে প্রবেশ করতে পারবো। আমরা উপযুক্ত মূল্য আদায় করতে পাচ্ছি না। এজন্য আমাদের বার্গেনিং ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে এবং উৎপাদন ব্যয় কমানো চেষ্টা করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ(১৮ জুলাই) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেল কেন্দ্রে এক্সপোর্ট এক্সিবিশন আয়োজিত বাংলাদেশ সরকারের সাসটেইনেবল এন্ড রিনিউএ্যাবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি(এসআরইডিএ) এর সহযোগিতায় আয়োজিত তিনদিনব্যাপী“ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অফ এ্যাপারেল ইন্ডাষ্ট্রি ঃ প্রোসপেক্ট এন্ড অবসটেকলস” শীর্ষক আলোচনা সভা ও মেশিনারিজ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানে আমাদের এনার্জির ব্যবহার কমিয়ে সোলার-এর ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিশ^মানের সোলার প্যানেল এখন বাংলাদেশে তৈরী হচ্ছে এবং বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। রিসাইকেলিং করে পানির ব্যবহার অনেক কমানো সম্ভব। এতে করে পণ্যের উৎপাদন খরচ অনেক কমে আসবে। বিশ^বাজারে প্রতিযোগিতায় আমরা অনেক এগিয়ে যেতে পারবো। এ জন্য প্রয়োজন পণ্যের মূল্য নির্ধারণে বার্গেনিং দক্ষতা প্রদর্শন। ক্রেতারা সবসময় চাইবে কমদামে পণ্য ক্রয় করতে। এ ক্ষেত্রে দক্ষতার বিকল্প নেই। আমাদের দেশের পণ্যের মান ভালো এবং বিশ^বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চলমান রপ্তানি বাজারের পাশাপাশি ব্রাজিল ও রাশিয়ারমত বড় বাজারগুলোতে প্রবেশ করতে পারলে বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বাড়বে। আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের প্রতি খুবই আন্তরিক। তিনি সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনেক।

এসআরইডিএ-এর সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের এর সঞ্চালনায় এবং বিদুৎ, জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সাসটেইনেবল এন্ড রিনিউএ্যাবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি(এসআরইডিএ) এর চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- এফবিসিসিআই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং অনআস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ইনোওয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্টারন্যাশনাল প্রা. লি. এর প্রতিষ্ঠাতা ফার্নো সুসাই, বিকেএমই-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং প্লামি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইলস এর প্রফেসর ড. মো. জুলহাস উদ্দিন এবং এ্যাপলস গ্লোবাল লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিরেন্দ্র গয়াল।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven − 9 =