ইফার ডিজি শামীম আফজালের যতো অপকর্ম

0
1467

মো: আহসানউল্লাহ হাসান: ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক (ডিজি) সামীম মোহাম্মদ আফজালকে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করার পর তিনি পদত্যাগ করছেন বলে ব্যাপক প্রচারিত হলেও এখন তা ধামাচাপা পড়ে গেছে। অর্থাৎ দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তা ইফার মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন না। এই নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অপরাপর কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কারন ইফার ডিজি হিসেবে ২০০৯ সালে শামীম মোহাম্মদ আফজাল যোগদান করে স্বজনপ্রীতি করে তার নিকট আত্মীয়দের অন্তত ৫০ জনকে ইফার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে চাকুরী দিয়ে ইফাকে পরিবারতন্ত্রে রুপান্তর করেছেন। তাছাড়া ইফার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহার সহ নানা কারনে সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে ডিজি পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেও অবশেষে উপর মহলকে ম্যানেজ করে স্বপদেই বহাল থাকছেন শামীম আফজাল।


অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৯ সালে যোগদানের পর নানা অনিয়মের মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে তার একমাত্র ভায়েরা ভাই সৈয়দ শাহ এমরানকে নিয়োগ দেন। এখন তার চারপাশে ছোট বড় পদে প্রায় অর্ধশত নিকটাত্মীয়। আপন বোনের মেয়ে ফাহমিদা বেগম (সহকারী পরিচালক, কক্সবাজার জেলায় উপ-পরিচালক পদে কর্মরত) আরেক বোনের মেয়ে সিরাজুম মুনীরা (মহিলা কো-অর্ডিনেটর, বায়তুল মোকাররম), বোনের ছেলে মাওলানা এহসানুল হক (জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের পেশ ইমাম), আপন ভাইয়ের ছেলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (সহকারী পরিচালক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি), ভাইয়ের ছেলে শাহ আলম (উৎপাদন ব্যবস্থাপক, চট্টগ্রাম) আরেক ভাইয়ের ছেলে রেজোয়ানুল হক (প্রকাশনা কর্মকর্তা), আরেক ভাইয়ের ছেলে মিসবাহ উদ্দিন (হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ৫৬০ মডেল মসজিদ প্রকল্প), শ্যালিকা ফারজিমা মিজান শরমীন (আর্টিস্ট, প্রেস শাখা), শ্যালিকার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (সহকারী পরিচালক, প্রশাসন), বন্ধুর মেয়ে সৈয়দ সাবিহা ইসলাম (সহকারী পরিচালক, প্রসাশন)।

এছাড়া আত্মীয় আবদুল্লাহ আল মামুন (সহকারী পরিচালক, উৎপাদন), আত্মীয় ইলিয়াস পারভেজ (সহকারী পরিচালক, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প) ডিজির ছেলে অনিকের গৃহশিক্ষক আতিয়ার রহমানকে প্রোগ্রাম অফিসার (ইসলামি মিশন) পদে নিয়োগ প্রদান করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই পদের সবগুলোই প্রথম শ্রেণীর পদ। সামীম মোহাম্মদ আফজাল তার আপন ভাইয়ের ছেলে রাসেল মিয়াকে ইসলামিক মিশনের ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান পদে, আরেক ভাইয়ের ছেলে মুনিম ও মাহমুদকে এলডিএ পদে, মাহমুদের স্ত্রীকে ল্যাব টেকনিশিয়ান, আত্মীয় রতনকে ফিল্ড সুপারভাইজার, ফয়সালকে হিসাব রক্ষক পদে, ইউডিএ হিসেবে আনোয়ারুল আজিম, গবেষণা সহকারী পদে আনোয়ারুল হককে নিয়োগ দেন। ডিজি শুধু আত্মীয়কে নিয়োগ দিয়েই ক্ষান্ত হননি। বন্ধু এমনকী বান্ধবীদের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রীরাও বাদ যাননি আত্মীয়করণ থেকে। ঘনিষ্ঠ পরিচালক মু. হারুনুর রশিদের ছেলে নাজমুস সাকিবকে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে, পরিচালক তাহের হোসেনের স্ত্রীর বোনের মেয়ে সাহিনা আক্তারকে সহকারী পরিচালক পদে, পীরভাই জালাল আহমদের স্ত্রী মাহমুদা বেগমকে প্রোগ্রাম অফিসার পদে এবং ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পরিচালক এবিএম শফিকুল ইসলামের আত্মীয় হোমায়রা আক্তারকে পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন।

এদিকে ইফা ডিজির বিরুদ্ধে লেখক সম্মানি নিয়ে নয়-ছয়, কেনাকাটার টাকা লুটপাট, পদোন্নতিতে দুর্নীতি ও জ্যেষ্ঠতা লংঘন এবং নিয়োগ-বদলির ক্ষেত্রে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ফাউন্ডেশনে দৈনিক ভিত্তিতে চাকরি দেয়ার কোনো বিধান না থাকলেও ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে দৈনিক ভিত্তিতে ছয় শতাধিক কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এভাবে দৈনিকভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে পরে তাদেরকে নিয়মিতকরণ করা হয়। এখনও প্রায় দুই থেকে আড়াইশ কর্মচারী দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত রয়েছেন।
ইফা ডিজি নারিন্দা মশুরীখোলা দরবারের পীর শাহ মোহাম্মদ আহছানুজ্জামানকে বোগদাদী কায়দার রয়্যালিটি বাবদ অবৈধভাবে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছেন।

কারণ, বোগদাদী কায়দা সুপ্রাচীনকাল থেকে এই উপমহাদেশে কোরআন শরিফ শেখার জন্য পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এটার লেখক শাহ আহসানুজ্জামান নন। অথচ ডিজি তার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে শাহ আহছানুজ্জামানকে এ টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে অন্যের দ্বারা বই লিখিয়ে লাখ লাখ টাকা রয়্যালিটি প্রহণের অভিযোগ রয়েছে ডিজির বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তার নিজ নামে কোনো বই ছিল না। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১০ বছরে ২৫টির অধিক বই তার নামে ছাপা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, একটি বইও ডিজি নিজে লেখেননি। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কর্মসূচিতে ২০২০ জন শিক্ষক ও ফিল্ড সুপারভাইজার নিয়োগে দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেন, ইসলামিক মিশনের টিএ-ডিএ খাতে অনিয়ম, ৫৬০টি মডেল মসজিদের সাইনবোর্ড তৈরিতে কমিশন বাণিজ্য, আইন উপদেষ্টা পদে বেআইনি নিয়োগসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারণে খোদ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডিজির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।

এতে প্রতিষ্ঠানটিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই অচলাবস্থা কাটাতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীও তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন ১৮ জুন। এদিন তিনি অফিস না করে ৩ দিনের ছুটির দরখাস্ত পাঠিয়েছেন ফাউন্ডেশনে। যদিও এই ছুটির আবেদন যথাযথ হয়নি বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশন সচিব। এ বিষয়ে কথা বলতে ডিজির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সরকারি ছুটির দিনে আগারগাঁও ইসলামিক ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে গিয়ে অফিসে বসে তিনি নিজের পদত্যাগপত্র লিখেন বলে জানা যায়। তিনি অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নথিপত্র সরিয়ে ফেলছেন-এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সংস্থার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সেখানে ছুটে যান। তারা ডিজির অফিস ঘেরাও করে রাখেন। পরে ইফার বোর্ড অব গভর্নসের সদস্য মিজবাহুর রহমান চৌধুরী, ইফার সচিব কাজী নুরুল ইসলাম ও আইন উপদেষ্টা এ আর মাউদ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা ডিজির সাথে কথা বলেন এবং তার পদত্যাগের বিষয়েও আলাপ করেন।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসায় নেয়ার জন্য আনুমানিক ৪০টি ফাইল ডিজির গাড়িতে ওঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাধার মুখে সেগুলো আবার গাড়ি থেকে অফিসের লকারে রাখতে তিনি বাধ্য হন। পরে দ্রুত অফিস ত্যাগ করলে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার কক্ষে অতিরিক্ত তালা লাগিয়ে দেন। রাত পর্যন্ত তারা অফিস পাহারা দেন। ডিজির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দুই পরিচালকের কক্ষেও তালা দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, রাতের আঁধারে বায়তুল মোকাররম মসজিদের একটি পিলার এক ব্যবসায়ী কর্তৃক অপসারণের ঘটনা প্রকাশ এবং এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার কারণে ক্ষুব্ধ ইফা ডিজি মহিউদ্দিন মজুমদারকে পুরনো কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তড়িঘড়ি করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তার বরখাস্তের বিষয়টি সঠিক হয়নি মর্মে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দেয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিলের বোর্ড অব গভনর্সের একটি চিঠিতে বলেন-মহিউদ্দিন মজুমদারও বরখাস্ত আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। তারই ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই পদের সবগুলোই প্রথম শ্রেণীর পদ। সামীম মোহাম্মদ আফজাল তার আপন ভাইয়ের ছেলে রাসেল মিয়াকে ইসলামিক মিশনের ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান পদে, আরেক ভাইয়ের ছেলে মুনিম ও মাহমুদকে এলডিএ পদে, মাহমুদের স্ত্রীকে ল্যাব টেকনিশিয়ান, আত্মীয় রতনকে ফিল্ড সুপারভাইজার, ফয়সালকে হিসাব রক্ষক পদে, ইউডিএ হিসেবে আনোয়ারুল আজিম, গবেষণা সহকারী পদে আনোয়ারুল হককে নিয়োগ দেন। ডিজি শুধু আত্মীয়কে নিয়োগ দিয়েই ক্ষান্ত হননি। বন্ধু এমনকী বান্ধবীদের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রীরাও বাদ যাননি আত্মীয়করণ থেকে। ঘনিষ্ঠ পরিচালক মু. হারুনুর রশিদের ছেলে নাজমুস সাকিবকে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে, পরিচালক তাহের হোসেনের স্ত্রীর বোনের মেয়ে সাহিনা আক্তারকে সহকারী পরিচালক পদে, পীরভাই জালাল আহমদের স্ত্রী মাহমুদা বেগমকে প্রোগ্রাম অফিসার পদে এবং ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পরিচালক এবিএম শফিকুল ইসলামের আত্মীয় হোমায়রা আক্তারকে পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন। এদিকে ইফা ডিজির বিরুদ্ধে লেখক সম্মানি নিয়ে নয়-ছয়, কেনাকাটার টাকা লুটপাট, পদোন্নতিতে দুর্নীতি ও জ্যেষ্ঠতা লংঘন এবং নিয়োগ-বদলির ক্ষেত্রে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।


জানা গেছে, ফাউন্ডেশনে দৈনিক ভিত্তিতে চাকরি দেয়ার কোনো বিধান না থাকলেও ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে দৈনিক ভিত্তিতে ছয় শতাধিক কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এভাবে দৈনিকভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে পরে তাদেরকে নিয়মিতকরণ করা হয়। এখনও প্রায় দুই থেকে আড়াইশ কর্মচারী দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত রয়েছেন। ইফা ডিজি নারিন্দা মশুরীখোলা দরবারের পীর শাহ মোহাম্মদ আহছানুজ্জামানকে বোগদাদী কায়দার রয়্যালিটি বাবদ অবৈধভাবে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছেন। কারণ, বোগদাদী কায়দা সুপ্রাচীনকাল থেকে এই উপমহাদেশে কোরআন শরিফ শেখার জন্য পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এটার লেখক শাহ আহসানুজ্জামান নন। অথচ ডিজি তার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে শাহ আহছানুজ্জামানকে এ টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একইভাবে অন্যের দ্বারা বই লিখিয়ে লাখ লাখ টাকা রয়্যালিটি প্রহণের অভিযোগ রয়েছে ডিজির বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তার নিজ নামে কোনো বই ছিল না। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১০ বছরে ২৫টির অধিক বই তার নামে ছাপা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, একটি বইও ডিজি নিজে লেখেননি।


মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কর্মসূচিতে ২০২০ জন শিক্ষক ও ফিল্ড সুপারভাইজার নিয়োগে দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেন, ইসলামিক মিশনের টিএ-ডিএ খাতে অনিয়ম, ৫৬০টি মডেল মসজিদের সাইনবোর্ড তৈরিতে কমিশন বাণিজ্য, আইন উপদেষ্টা পদে বেআইনি নিয়োগসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারণে খোদ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডিজির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এতে প্রতিষ্ঠানটিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই অচলাবস্থা কাটাতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীও তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন ১৮ জুন। এদিন তিনি অফিস না করে ৩ দিনের ছুটির দরখাস্ত পাঠিয়েছেন ফাউন্ডেশনে। যদিও এই ছুটির আবেদন যথাযথ হয়নি বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশন সচিব। এ বিষয়ে কথা বলতে ডিজির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সরকারি ছুটির দিনে আগারগাঁও ইসলামিক ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে গিয়ে অফিসে বসে তিনি নিজের পদত্যাগপত্র লিখেন বলে জানা যায়।

তিনি অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নথিপত্র সরিয়ে ফেলছেন-এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সংস্থার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সেখানে ছুটে যান। তারা ডিজির অফিস ঘেরাও করে রাখেন। পরে ইফার বোর্ড অব গভর্নসের সদস্য মিজবাহুর রহমান চৌধুরী, ইফার সচিব কাজী নুরুল ইসলাম ও আইন উপদেষ্টা এ আর মাউদ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা ডিজির সাথে কথা বলেন এবং তার পদত্যাগের বিষয়েও আলাপ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসায় নেয়ার জন্য আনুমানিক ৪০টি ফাইল ডিজির গাড়িতে ওঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাধার মুখে সেগুলো আবার গাড়ি থেকে অফিসের লকারে রাখতে তিনি বাধ্য হন। পরে দ্রুত অফিস ত্যাগ করলে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার কক্ষে অতিরিক্ত তালা লাগিয়ে দেন। রাত পর্যন্ত তারা অফিস পাহারা দেন। ডিজির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দুই পরিচালকের কক্ষেও তালা দেয়া হয়েছে।


অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, রাতের আঁধারে বায়তুল মোকাররম মসজিদের একটি পিলার এক ব্যবসায়ী কর্তৃক অপসারণের ঘটনা প্রকাশ এবং এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার কারণে ক্ষুব্ধ ইফা ডিজি মহিউদ্দিন মজুমদারকে পুরনো কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তড়িঘড়ি করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তার বরখাস্তের বিষয়টি সঠিক হয়নি মর্মে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দেয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিলের বোর্ড অব গভনর্সের একটি চিঠিতে বলেন-মহিউদ্দিন মজুমদারও বরখাস্ত আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। তারই ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × two =