বগুড়ার শেরপুরে স্ত্রীকে হত্যা পর মরদেহ নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর সময় এক গ্রাম পুলিশকে আটক করেছে পুলিশ। আটক গ্রাম পুলিশ গৌতম কুমার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের সিরাজ নগর নওলাপাড়া গ্রামের মৃত ভোধন চন্দ্রর ছেলে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গৌতমকে (৩৫) আটক করে পুলিশ। এ সময় গৌতমের স্ত্রী পূর্ণিমা রানীর (২৮) মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ গৌতম দেড় বছর আগে আগে পূর্ণিমাকে বিয়ে করেন। পূর্ণিমার বাড়ি তাড়াশ উপজেলার ধামাইনগর গ্রামে। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। বুধবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে গৌতম তার স্ত্রীকে মারপিট করে ঘরে তালা দিয়ে রেখে বাজারে যায়। সন্ধ্যার আগে বাজার থেকে ফিরে এসে স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় দেখে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
সন্ধ্যার পর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পূর্ণিমা রানী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামী গৌতম চিকিৎসকে জানান। কিন্তু মরদেহে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মেডিকেল কলেজে দায়িত্বরত পুলিশ গৌতমকে আটক করে শেরপুর থানা পুলিশে হস্তান্তর করে।
বিশালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান বলেন, তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্বামীর আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর জানান, হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।