আড়তগুলোতে পেঁয়াজ-আদা-রসুনের মজুদ বেড়েছে

0
818

অবশেষে পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে এই নিত্যপণ্যের দাম। তবে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন। পাইকাররা বলছেন, ভারত থেকে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ দেশে আসছে।

সরবরাহ বাড়তে থাকায় আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমার কথা বলছেন তারা। তবে, কোরবানির আগে উর্ধ্বমুখী মসলার বাজারে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন মুদিপণ্যের ব্যবসায়ীরা।

চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। বন্যা, বৃষ্টি আর সরবরাহ কমের অজুহাতে পাইকারিতে ২০-২২ টাকা কেজির দেশি পেঁয়াজের দর উঠে যায় ৪০-৪২ টাকা। দাম বাড়ে আমদানি করা পেঁয়াজেরও। পরিস্থিতি সামাল দিতে নজরদারির পাশাপাশি আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সরকার।

মোহাম্মদপুর পাইকারি কৃষি মার্কেটের গিয়ে দেখা গেল, আড়তগুলোতে পেঁয়াজ-আদা-রসুনের মজুদ বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, গেল সপ্তাহের চেয়ে দেশি-আমদানি সব ধরনের প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬-৩৪ টাকার মধ্যে। তবে, অপরিবর্তিত রসুন ও আদার দর।

মসলার বাজারে সবচেয়ে বেশি বাড়ছে এলাচ ও দারুচিনির দাম। এলাচের দাম উঠেছে ২৭০০ টাকা কেজি। দারুচিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪১৫ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে মসুর, মুগ, খেসারি’সহ সবধরনের ডালের দাম। স্থিতিশীল ভোজ্যতেলের বাজার।

বাড়া-কমা নেই চালের বাজারে। মিনিকেট মানভেদে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়; ব্রি-আটাশ ৩০-৩২ টাকা আর গুটিস্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − 12 =