সিআইডি (নারায়নগঞ্জ) এসআই মো: কাইয়ুম খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

0
792

বেলায়েত হোসেন: আইনের লোক হয়ে বে-আইনি কাজ করলে বিচার প্রার্থী মানুষের যাবার আর কোন জায়গা থাকেনা। সাধারন মানুষ তখনি আইনের আশ্রয় নেন যখন তার আর অন্য কোন উপায় থাকে না। নিরুপায় হয়েই তারা আইনশ্রীঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ্য হন।

আইনশ্রীঙ্খলা বাহিনীর কাজ ভুক্তভূগী মানুষকে সহায়তা প্রদান করা কিন্তু তা না করে বে-আইনি ভাবে টাকার টাকার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যখন একজন আইন কর্মকর্তা বে-আইনি কাজ করেন তখন আর ভুক্তভূগী মানুষের দূর্ভোগের শীমা থাকে না।

এমনি একজন সিআইডি (নারায়নগঞ্জ) এসআই মো: কাইয়ুম খান (বিপি ৬৭৮৯০৫৩৫২৫)এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকার বিনিময় একতরফা মিথ্যা দতন্ত রিপোর্ট প্রদান করে বিবাদীকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ থেকে পাওয়া যায় কথাগুলো হুবহু তুলে ধরা হল (মোসা: জাকিয়া সুলতানা, পিতা-মরহুম ইদ্রিস আলী, গ্রাম-শ্রীরামপুর, থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়নগঞ্জ। এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নারায়নগঞ্জ এর সি আর মামলা নং-২১২/১৮ এর বাদী লাভলী আক্তার আমার বড় বোন জোহরা ইসলামের সতীন এবং আমি উক্ত মামলার ৪নং আসামী।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯৬ সালে পারিবারিক সম্মতিতে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সুরুজ আলী সৌদি প্রবাসী ছেলে নুরুল ইসলামের সাথে আমার বড় বোন জোহরা ইসলামের বিবাহ হয়। তাহার ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এক পর্যায়ে ২০১১ সালে আমার দুলাভাই আমার বোনকে না জানিয়ে অর্থাৎ গোপনে মামলার বাদী লাভলী আক্তারকে বিয়ে করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে গ্রাম্য শালিশে দুই পরিবারকে আলাদা আলাদা ভাবে ভরণপোষন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আমার বোন ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করিয়া এটাকে ভাগ্য হিসেবে মেনে নিয়ে আলাদা বাসায় সংসার করতে থাকে।

এদিকে লাভলী আক্তারকে বিয়ের পর থেকে নুরুল ইসলাম আমার বোনের সংসারে ভরনপোষন দেয়া ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয় এবং আমার বোনকে শাররিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। বাধ্য হয়ে আমার বোন জোহরা ইসলাম নুরুল ইসলামের নামে নির্যাতনের মামলা করে।

অতপর এই মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নুরুল ইসলাম তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী ইসলামকে দিয়ে নাটকী ভাবে মারামারির ঘটনা সাজিয়ে আমাদের চার ভাই বোনের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সি আর মামলা নং-২১২/১৮। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহন করে সিআইডির এসআই মো: কাইয়ুম খান (বিপি-৬৭৮৯০৫৩৫২৫)।

সিআইডির এস আই মো: কাইয়ুম খান বাদী লাভলী আক্তারের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কোন প্রকার সরেজমিনে তদন্ত ছাড়াই একতরফাভাবে একটি মিথ্যা বানোয়াট প্রতিবেদন দাখিল করে। সেখানে আমরা ন্যায় বিচার থেকে চরমভাবে বঞ্চিত হয়েছি। কারন মামলায় উল্লেখিত স্থানে ও ঐ তারিখে এধরনে কোন মারামারির সংঘটিত হয়নি। যার যথেষ্ট স্বাক্ষী প্রমান স্থানীয় লোকজন সহ আমাদের কাছে রয়েছে।

তদন্তকালীন সময়ে এসআই মো: কাইয়ুম খান স্থানীয় লোকজন সহ আমাদের বক্তব্য না শুনিয়া শুধুমাত্র লাভলী আক্তারের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এরুপ মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট প্রতিবেন দাখিল করিয়াছে। এইরুপ মিথ্যা প্রতিবেদনের কারনে আমরা চার ভাইবোন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি।)

অভিযোগকারীর অভিযোগে প্রেক্ষিতে অপরাধ বিচিত্রার প্রতিনিধি এসআই কাউয়ুম খানের সাথে স্বাক্ষাৎ করে বিষয়টি সম্মন্ধে জানতে চাইলে কোন প্রকার স্বদউত্তর দিতে ব্যার্থ হন এবং এবিষয় নিয়ে আপনার সাথে অফিস সময়ের পরে কথা হবে বলে প্রতিবেদককে বিকেলে চায়ের আমন্ত্রন জানান। এর পর থেকে মো: কাইয়ুম খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খুজতে গিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ অপরাবিচিত্ররার হাতে আসে। সমিক্ষান্তে ধাপে ধাপে তা প্রকাশ করা হবে। (চলবে)

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

six + 14 =