মতলব উত্তরে নিতু ফার্মেসি কর্তৃক বিক্রিত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবন করে গুরুতর অসুস্থ্য ১ শিশু

0
2070

  মোঃ তুহিন ফয়েজঃ মতলব উত্তর থেকেঃ 

মতলব উত্তরে নিতু ফার্মসি কর্তৃক বিক্রিত  মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ  সেবন করে ১ শিশু গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পডৃেছে বলে  অভিযোগ উঠেছে ৷  

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার ৯নং জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামের শহীদ উল্লাহ  মোল্লিকের ৭ মাস বয়সের শিশু  ছেলে সাইম এর জ্বর ও বুমি হলে  গত ২৪ জুলাই ২০১৯ইং তারিখে শহীদ উল্লাহ  মোল্লিক ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের নতুন বাজারে  নিতু ফার্মেসিতে যান এবং নিতু ফার্মেসি থেকে বায়ো ফার্মা লিমিটেড কোম্পানির  ( বেস্টক্যাপ ) নামক সিরাপ ক্রয় করে চিকিৎসকের পরামর্শে  সেবন করার পর  ৭ মাসের শিশু সাইম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে শহীদ উল্লাহ  মোল্লিক  ওষুধের মোড়কে দেখেন  জুন  ২০১৯ইং তারিখে ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ৷ ঐ সিরাপটির উৎপাদন তারিখ ছিল- জুন ২০১৭ইং  এবং ব্যাচ নং-৪৬২ ৷

শহীদ উল্লাহ মোল্লিক পুনরায়  ২৯ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে তার ছেলে সাইমকে নিতু ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে বায়ো ফার্মা লিমিটেড কোম্পানির বেস্টক্যাপ নামক মেয়াদোক্তীর্ণ  সিরাপ টি বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন  নিতু ফার্মেসির প্রোঃ মোঃ: সাজ্জাদ হোসেন শিপন ৷  ঐ সময় তার দোকানের সামনে শত শত লোক ভিডৃ জমায় শিশু সাইমের অবস্থা গুরুতর দেখে   ফরাজি কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খোকন ও স্থানীয় জনগণের  পরামর্শে  ঐ দিনই রাত ১১ টায় শহিদ উল্লা মোল্লিক তার ছেলে সাইমকে  চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে  গেলে  বিষেষজ্ঞ চিকিৎসক অলিউর রহমান মজুমদার   সাইমকে  চিকিৎসা দেন  এবং পরে চাঁদপুর মা ও শিশু হাসপাতালে শিশু বিষয়ক  বিষেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে    অসুস্থ্য সাইমকে নিয়ে চিকিৎসা করান বলে  শিশুর   পিতা শহীদ উল্লাহ মোল্লিক জানান ৷

গত ৩ আগস্ট রোজ শনিবার শহীদ উল্লাহ মোল্লিক জানান, আমার ছেলে সাইম এখনও সুস্থ্য হয়নি ৷ আমার ছেলেকে   বাড়ীতে  রেখে আমি  বিষেশজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা  করাচ্ছি ৷  মেয়াদোক্তীর্ণ ওষুধ কেন দোকানে রেখে বিক্রি করা হলো আমি তার বিচার চাই ৷ শহীদ উল্লাহ মোল্লিক আরও জানান,সাজ্জাদ হোসেন শিপন ডাক্তার না হয়েও প্রেসক্রিপশন ছাডৃা ওষুধ বিক্রি করেন এবং কোন লোক তার কাছে গিয়ে রোগের কথা বল্লে কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাডৃাই অনুমান করে রোগীর কাছে ওষুধ বিক্রি করেন ৷

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি খোকন মেম্বার বলেন- মেয়াদোক্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির বিষয়টি আমি এমপি মহোদয়ের পিএস  সুমন ভাইকে জানিয়েছি  তিনি এমপি সাহেবকে জানাবেন এমপি সাহেব তিনি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিবে ৷

এব্যপারে  মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের সাথে তার মুঠোফোনে  ৩ আগস্ট দুপুরে  যোগাযোগ করা হলে তিনি   বলেন- মেয়াদোক্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা দন্ডনীয়  অপরাধ আমরা পরবর্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে যদি কোন দোকানে  মেয়াদোক্তীর্ণ ওষুধ  পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তার  বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব  ৷

কোন ফার্মেসিতে যাতে মেয়াদোক্তীর্ণ  ওষুধ বিক্রি করতে না পারে এব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে শহীদ উল্লাহ মোল্লিক ও সচেতন মহল মনে করেন ৷

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − four =