প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়লেও দাম কমছে না

0
751

ইলিশ মাছ অাহর‌নে নিষেধাজ্ঞার টানা ৬৫ দিন পর জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার নদীতে জেলেদের জালে ধরা পরছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ।

জে‌লে‌দের জা‌লে ই‌লিশ ধরা পড়ায় ব্যস্ততা বে‌ড়ে‌ছে চাঁদপুর শহ‌রের বড়;‌স্টেশন এলাকার মাছ ঘা‌টে। ক্লান্তিহীন প‌রিশ্রম ক‌রে যা‌চ্ছেন মাছ ঘা‌টের মৎস্যজীবীগণ। লোকাল বাজা‌রে বি‌ক্রির সা‌থে সা‌থে অন্যান্য জেলায় মাছ পাঠা‌তে ব্যস্ত মৎস্য ব্যবসায়ীগণ। দিনরাত মা‌ছে বরফ ঢ‌লে স‌তেজ রাখ‌তে ব্যস্ত শ্রমীরা সা‌থে চল‌ছে পে‌কেটজাত করার কাজ।

প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়লেও দাম কমছে না। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে ইলিশের বাজার মূল্যে ক্রেতামহল হতাশ। যার ফলে করে ইলিশ আহরণকৃত জেলা ও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ ইলিশ ক্রয় করতে পারছে না। স্থানীয়ভাবে মানুষ ইলিশ থেকে বঞ্চিত হলে ও বিভিন্ন জেলায় ঠিকই প্রতিদিন ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় ভাবে ইলিশের মূল্য বেশি কিন্তু রপ্তানির ক্ষেত্রে কম কেন? নাকি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন।

এদিকে, মহাজন ও বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে ঋণ নিয়ে জেলেরা মাছ ধরেন। মাছের দাম ভালো থাকলে ঋণ পরিশোধে এ বছর জেলেদের সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তারা। দেশের বিভিন্ন স্থানের জেলেরা দীর্ঘ অলস সময় কাটানোর পর এখন ইলিশ আহরণে ব্যস্ত।

গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কারণ এ সময়ে গভীর সাগর থেকে নদীর মোহনায় এসে ডিম দেয় মা ইলিশ।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের নিষেধাজ্ঞার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন ছিল। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৫ দিন ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার পুরো ৬৫ দিনই বেকার সময় পার করতে হয়েছে জেলেদের। জেলেদের দাবি ছিল ডিম দেয়ার সঠিক সময় নির্ধারণ করে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আগের মতো ২২ দিন করার।

জেলেরা জানান, বর্তমানে নদীতে জাল ফেললেই ইলিশ মাছ উঠছে। বিভিন্ন স্থানে নদী ও সাগরের মোহনায় গেলে একেকটি বড় জেলে ট্রলারে প্রতিদিন ১০০-২০০ ইলিশ ধরা পড়ে যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। এভাবে মাছ ধরা পড়ায় মহাজন ও বিভিন্ন সূত্র থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে জেলেদের সমস্যা হবে না বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − 6 =