মো: আহসানউল্লাহ হাসানঃ নানা অপকর্মে ভরপুর প্রতারনায় শীর্ষে ডিজিটাল প্রতারক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত টিভি টকশোর বুদ্ধিজীবি সাহেদ করিমের লাইসেন্সবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান। ভুয়া ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারী-২০১৭ অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস লিম্ফাকে অপচিকিৎসার মাধ্যম সাহেদ চক্র। এঘটনায় লিম্ফার বাবা মামলা করলে সাহেদ মোটা খরচ করে নিজেকে মামলা থেকে আড়াল করে। লিম্ফার বাবা গবীর হওয়ায় কোন সুবিচার পাযনি বলে এলাকায় প্রচারিত রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, লাইসেন্সবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম ওরফে মেজর ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী ওরফে এডিসি সাহেদ ওরফে সচিব মো: সাহেদ চৌধুরী ওরফে টিভি টকশোর বুদ্ধিজীবী আওয়ামীলীগ নেতা মো: সাহেদ। নামেই যার এতো প্রতারনা তার কাছে রোগীরা আর কি সেবা পাবে। বরং রোগীদের জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ ভুয়া ডাক্তার বাহিনী দ্বারা অপচিকিৎসা দিয়ে রোগিকে হত্যা করে বীরদর্পে চলছে সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল। রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর শাখায় হাতের চিকিৎসা করাতে এসে লাশ হয়ে বাড়ী ফিরে মিরপুরের নাহার একাডেমির অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস লিম্ফা (১৬)।
মিরপুর পল্লবীর ১২ নাম্বার সেকশনের ডি-ব্লকের বেগুণটিলা বস্তির সাহাবুদ্দিনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া লিম্ফার বাবা জয়নাল শেখ লিটন বাদী হয়ে পল্লবী থানা ঐ হাসপাতালের ৪ ভুয়া ডাক্তারকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পল্লবী থানায় মামলা নং-৩৮(২)১৭। আসামীরা হলেন, ভুয়া ডাক্তার ফারুক হোসেন (৪২), সাইফুল ইসলাম সজীব (২২), নাসির উদ্দিন সিকদার (৪০) ও ব্যবস্থাপক মেজবাহুল আলম মিল্টন (৪০)। তবে বাদীকে কৌশলে হুমকি ধমকি দিয়ে হাসপাতালে চেয়ারম্যান সাহেদ নিজেকে মামলার আসামীর তালিকা থেকে সরিয়ে রাখে। মামলাটি প্রাথমিক তদন্ত করেন পল্লবী থানার এসআই রফিকুল ইসলাম।
এসআই রফিকুল ইসলামের তদন্তের মাঝ পথে মামলটি অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব নেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের আস্থাভাজন ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন ডিভিশনের সেনসেশনাল মার্ডার টিমের সিনি: এএসপি এ.জেড.এম. তৈমুর রহমান। অপরাধের দায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান কোন ভাবেই এড়াতে পারে না, তাই রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ সহ মামলার গুরুত্বপূর্ন দুই আসামী ভুয়া ডাক্তার নাসির উদ্দিন ও ব্যবস্থাপক মেজবাহুল আলম মিল্টনকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ফারুক হোসেন ও সাইফুল ইসলাম সজীবকে অপরাধী সাবস্ত্য করে আদালতে ৩৩১ নং অভিযোগ পত্র পেশ করেন এ.জেড.এম. তৈমুর রহমান।
প্রতারক সাহেদ টাকা দিয়ে এএসপি এ.জেড.এম. তৈমুর রহমানকে ম্যানেজ করে উদেশ্য প্রনোদিতভাবে রিপোর্ট পেশ করার কারনে মামলার বাদী নারাজী দিয়ে পুনরায় তদন্তের জন্য আদালতে আবদেন জানালে আদালত তা আমলে নিয়ে মামলাটি পুর্ন তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক কবির হোসেনকে দায়িত্ব দেন। পুলিশ পরিদর্শক কবির হোসেন দীর্ঘ সময় তদন্ত করে এজাহারে নামীয় আসামীদের অপরাধের ধরন বর্ননা স্বরূপ ৪৩৫ নং সম্পূরক অভিযোগ পেশ করেন। তবে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান টিভি টকশোর বুদ্ধিজীবী প্রতারক সাহেদ নিজের প্রতিষ্ঠানে ভুয়া ডাক্তার নিয়োগের দায়ে কেন মামলার আসামী হবে না সেই প্রশ্নের উত্তরটাই রয়ে গেছে অন্তরালে।