মো: আতিকুর রহমান: গাজীপুরে মাদক ব্যবসা ও জমি দখল মোকাদ্দেস হোসেন মোবারকের এখন পেশায় পরিনত হয়েছে। বিশাল বড় মাদক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অন্যে জমি দখল করে কোটিপতি মোবারক। আবার রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব আর স্থানীয় থানা পুলিশের সাথে গভীর সম্পর্ক। একারনে সবাই তাকে প্রচন্ড ভয় পায়। সবাই জানে মোবারকের অন্যাযের প্রতিবাদ করলে প্রান নিয়ে বেচে থাকা যাবে না। একারনে কেউ প্রতিবাদ করে না। মোবারক এতটাই ভয়ংকর যে অবৈধভাবে জমি দখল নিতে একজন অবসর প্রাপ্ত আর্মি অফিসারের বাড়ী হামলা চালিয়ে ঘর বাড়ী ভাংচুর করতেও কার্পণ্যতা করেনি।
তার অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, মো: নূরুল কবির, পিতা-মো: আবুল হোসেন (অবসর প্রাপ্ত আর্মি), সাং-কেওয়া পশ্চিম খন্ড, থানা- শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুর দীর্ঘদিন যাবত পরিবার পরিজন নিয়ে নিজেদের পৈত্তিক সম্পত্তিতে সুনামের সহিত বসবাস করে আসছে। কিন্তু একই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মোবারক নানাভাবে নুরুল কবিরের পরিবারের উপর অত্যাচার ও জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। এবিষয় মানাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ হিউম্যান রাইডস এন্ড প্রেস সোসাইটির কয়েকজন সদস্য নুরুল কবিরের বাড়িতে সরজমিনে পরির্দশনে গেলে নুরুল কবিরের পিতা: অবসরপ্রাপ্ত আর্মির সার্জেন্ট মো: আবুল হোসেন বলেন, আমি অত্যান্ত সুনামের সহিত আমার চাকরি জীবন শেষে এখানে এসে বসবাস করি। কিন্তু এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ী আমাদের উপর প্রায়ই নির্যাতন চালায়।
কারন আমরা সবসময়ই মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলি। এ কারনে কয়েকদিন পুর্বে আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায় মোবারক বাহিনী। মাদক ব্যবসায়ী (১) মোকাদ্দেস হোসেন ওরফে মোবারক (৩৫), (২) আলী হোসেন (৫০), (৩) মোস্তফা ওরফে মোস্ত (৪৫) সর্ব পিতা: মৃত-আশ্রব আলী, (৪) আসিফ (২০), পিতা-মোস্তফা ওরফে মোস্ত, (৫) নায়েব আলী (৫৫), পিতা মৃত-বান্দু শেখ, সর্ব সাং-কেওয়া পশ্চিম খন্ড, থানা-শ্রীপুর, জেলা গাজীপুর। এবিষয় শ্রীপুর থানায় আমার ছেলে নুরুল কবির অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে উল্লেখ করেন নিম্ন তফসিল বর্ণিত ভূমি মো: আবুল হোসেন বিগত এস.এ, ও আর. এস. রেকর্ডভুক্ত মালিক দখলকার থাকাবস্থায়, বিগত ০৪/০৭/২০১৭ইং তারিখে ৯৩৭৪নং হেবা ঘোষণা পত্র দলিলমূলে নুরুল কবিরককে হস্তান্তর করে।
সে মোতাবেক নুরুল কবির উক্ত জমির দখল বুঝিয়া নিয়া নিজ নামে নামজারী জমা ভাগ নথি নং-৬১৭/১৭-১৮ তারিখ: ৩১/১০/১৭ইং মূলে আলাদা ২৪৫২৮ নং জোত খুলিয়া ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধান্তে ভোগ দখলকার করে আসছে। এমতাবস্থায় মোবারক বাহিনী অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে উক্ত জমি দখল নেয়ার পায়তারা করছে আসছে। যাহার প্রেক্ষিতে আমি ১-৪নং বিবাদীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গাজীপুরে ১৪৪ ধারায় পি: মোকাদ্দমা নং-৪০৪/১৯ দায়ের করি। উক্ত মামলা দায়ের পর জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আদালতের নির্দেশক্রমে শ্রীপুর থানা পুলিশ নোটিশ প্রদান করে। ইহার পর বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হইয়া ৫নং বিবাদীর হুকুমে অন্যান্য বিবাদীগণ অদ্য ইং ৩০/০৭/১৯ তারিখ দুপুর অনুমান ২.০০টার সময় নুরুল কবিরের বাড়ীতে থাকা সেফটি ট্যাংকি ভাংচুর করে ও নুরুল কবিরের বাড়ীতে থাকা ছেলে মেয়ে ও মহিলাদেরকে মারধর করে। ২নং বিবাদীর স্ত্রী সাজেদা বেগম নুরুল কবিরের স্ত্রীকে শাবল দ্বারা আঘাত করার চেষ্টা করে। পরে নুরুল কবির এর স্ত্রী প্রাণ রক্ষার্থে ঘরে যাইয়া আশ্রয় নেয়।
পরে বিবাদীগণ নুরুল কবির ও তার পরিবাকে গালিগালাজ সহ প্রয়োজনে খুন জখম করিয়া হইলেও জমি জবর দখল করিবে বলিয়া হুমিকি দিয়া চলে যায়। এমন অবস্থায় পুনরায় বিবাদীগণ আমার বাড়ীতে হামলাসহ যে কোন প্রকার অঘটন ঘটাইতে পারে এবং তাহাদের অন্যায় কাজে বাধা নিষেধ দিলে বিবাদীগণ দ্বারা খুন খারাবিসহ শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে। এবিষয় নুরুল কবির মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ মাননীয় স্বরাষ্টমন্ত্রীর কার্যালয় পৃথক পৃথক আবেদন করেন। শ্রীপুর থানায় গত ৪-৭-২০১১ অভিযোগ দেয়ার পর শ্রীপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ বিষয়টি সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন এসআই রাহাতুল জামাল আকন্দকে।
কিন্তু অদৃশ্য কারনে এসআই রাহাতুল জামাল আকন্দ কোন ব্যবস্থাই করে নাই। এবিষয় একাধিকবার এসআই রাহাতুল জামাল আকন্দ’র মোবাইলে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।