Site icon Aparadh Bichitra

কিশোরগঞ্জ থানার এস.আই শাহ আলমের বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন

জাহাঙ্গীর আলম: নীলফামারীতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা মামলার সত্যতা যাচাই না করে কিশোরগঞ্জ থানার এস.আই শাহ আলম (বিপি নং-৭৭৯৬০৭১৯৮৮)-এর বানোয়াট তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত। কিশোরগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও উপজেলা সাংবাদিকদের নিয়ে পিাটশন মামলা নং-১১/১৯ (ক) এবং স্মারক নং-২৪৩/১৯ মামলা থানায় প্রাপ্তীর পর অফিসার ইনচার্জ কিশোরগঞ্জ থানা এস.আই শাহ আলমের উপর তদন্তভার অর্পন করেন। তদন্তভার গ্রহণ করে শাহ আলম তদন্ত রিপোর্টে লিখেন, মামলার ঘটনার বিষয় গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত করেন।

তিনি সরেজমিনে জব্দ বা জিজ্ঞাসাবাদ না করে তদন্ত প্রতিবেদনে নির্দোষ বিবাদীদের দোষী সাব্যস্ত করেন তার কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো। তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনা সংক্রান্ত জ্ঞাত সাক্ষী ১। সনাতন চন্দ্র রায় (২২), ২। মনোতোষ চন্দ্র রায় (৪৫) পিতা-মৃ: কলিন উদ্দিন এই নামে অত্র এলাকাতো দূরের কথা নীলফামারী জেলায় ঐ নামে লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি ঘটনার বিষয় জব্দ না করে মামলার বাদী সবিতা রানী তার উঠানে অবস্থিত নলকুপের পানিতে হাত-মুখ ধুইতে গেলে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার সময় নলকুপের হাতল সবিতা রানীর বাম চোখের বাহির কোনে লাগিয়া গুরুতর রক্তাত্ব জখম হয়।

ঘটনার ও ভর্তির তারিখ: ০৯/০১/২০১৯ইং সকালবেলা। চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন চক্ষু বিভাগ, ৩য় তলা, ৮ নং ওয়ার্ড, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর। বিষয়টি উদঘাটন না করে এস.আই শাহ আলম বাদিনীর দ্বারা প্রভাবিত হইয়া বাদিনীকে দিয়ে ডাঃ রশিদুল হোসেনকে প্রভাবিত করে মিথ্যা কাগজপত্র তৈরী করে ভর্তির তারিখ ০১/০২/২০১৯ ইং উল্লেখ করে সনদপত্র প্রদান করেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। মিথ্যা মামলা তথা মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করার কারণ হলো এই যে, মামলার বাদিনী সবিতা রানী রায়ের (বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত হাজতী আসামী) মহিমা রঞ্জন রায়ের ১ম স্ত্রী।

২য় স্ত্রী হলেন তিলোবালা রায়। এক মেয়ে সন্তানের জননী। সবিতা রানীর সতীন তিলোবালা রায়ের উপর উঠতে বসতে ডাং-মার, শারিরিক নির্যাতন করতে থাকেন। তিলোবালা সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হইয়া স্বামীসহ তাহাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নীলফামারীতে মোকদ্দমা অনায়ন করেন। মোকদ্দমা না:শি:নি: ৭৫/১৩। মোকদ্দমা পা: ডিং-০১/১৮ পারিবারিক জজ আদালত কিশোরগঞ্জ। পা: ডিং মামলার রায়ে এক লাখ ৯৪ হাজার টাকা তিলোবালা রায় ডিগ্রী পান। উক্ত টাকা আদালতে জমা না দিলে তখন তার সাজা পরওয়ানা জারি হয়।

উক্ত মামলা ডিসমিস করার জন্য মহিমা রঞ্জনের পক্ষে রনজিৎ রায় ও বিজয় চন্দ্র কৌশলে জোরপূর্বক তিলোবালাকে রায়কে হরিসভায় লইয়া যায়। সেখানে উপস্থিত মহিমা রঞ্জন, সবিতা রানী, ডালিম কুমার হলুদ রঙ্গের স্টাম্পে জোর পূর্বক টিপসহি নিতে চাইলে ধাক্কা ধাক্কি হয়। এসময় তিলোবালার চিৎকারে তার ভাতিজা সুরজিৎ দৌরাইয়া আসে বাধা প্রদান করিলে তাকে বেধরক মারধর করতে থাকলে এলাকাবাসী দৌড়াইয়া আসে সুরজিৎকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রিক্সাযোগে কিশোরগঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে ৩০/০১/১৯ইং ভর্তি হয়ে ০২/০২/১৯ ইং পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিলোবালা রায় বাদী হয়ে ১১/০২/২০১৯ ইং তারিখে বিজ্ঞ আমলী আদালত কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী বরাবর মহিমা রঞ্জন গং-এর বিরুদ্ধে মামলা অনায়ন করেন। মামলা নং- ১৮/১৯। উক্ত মামলার আসামীরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য ঘটনার তারিখ ০১/০২/১৯ ইং দেখিয়ে সবিতা রানী রায়কে বাদিনী করে মেডিকেলে চিকিৎসারত সুরজিৎকেসহ নির্দোষ লোকদের আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তাছাড়া ও মহিমা রঞ্জনের ২য় স্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ্য তিলোবালা রায়ের পক্ষ অবলম্বন করায় জগবন্ধু, সুরজিৎ, জামিনুর, সঞ্চিত, রজ:বালা, সুশান্তিবালা, শ্যামলী রানীগং এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এস.আই শাহ আলমকে প্রভাবিত করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন।

যা ঘোরতর অন্যায় তথা নির্দোষ ব্যক্তিদের উপর অবিচার করা হয়েছে। এস.আই শাহ আলম মামলার বিষয় তিলো বালা রায়কে বলেন, আপনার পক্ষ অবলম্বন করায় নির্দোষ লোকেরা আজ মামলার আসামী। এখন তাদেরকে মামলায় নির্দোষ প্রমাণ করতে গেলে খরচা লাগবে। তিলো বালা রায় উপায়ান্তর না পেয়ে তার পোষা একটি গর্ভবতী ছাগল বিক্রি করে ৩ (তিন) হাজার টাকা এস.আই শাহ আলমের হাতে তুলে দেন।

এস আই শাহ আলম ৩ (তিন) হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে ও তার চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় মামলার বিষয় জব্দ না করে মামলার বাদিনীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনেক টাকার বিনিময়ে ইন্সপেক্টর অব পুলিশের ক্ষমতাবলে নির্দোষ ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে আদালতে প্রেরণ করে। বানোয়াট তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করা হয়।