নিষিদ্ধ এমএলএম সিষ্টেমে ড্রিম ডিজিটাল সিটির প্রতারণা

0
604

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও লোভনীয় অফার দিয়ে বহু এমএলএম কোম্পানী ড্রিম ডিজিটাল সিটি লিঃ প্রতারনার মাধ্যমে জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমএলএম পরিচালনাকারী কোম্পানীগুলোর কোন প্রকার বৈধ লাইসেন্স নেই। তারা সরকারের কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই এমএলএম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত এমএলএম কোম্পানীর পরিচালকবৃন্দের কাছে এমএলএম ব্যবসার কোন বৈধ কাগজপত্র বা সরকারের কোন প্রকার অনুমতি আছে কিনা পত্রিকার পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তারা কোন প্রকার অনুমতি পত্র দেখাতে পারে নাই।

উক্ত কোম্পানীর পরিচালকবৃন্দ সরকারীভাবে বন্ধ হওয়া ডেসটিনি, যুবক, নিউওয়ে এমএলএম কোম্পানী থেকে পালিয়ে এসে নাম পাল্টিয়ে অনুমোদন বিহীন অবৈধ এমএলএম কোম্পানী খুলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে লোভনীয় অফার দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবার পথ খুজছে। অবৈধ এমএলএম কোম্পানী ড্রিম ডিজিটাল সিটি উত্তরা ক্লাবের সামনে বাহাদুরী ভিলার ছাদের উপরে অফিস ভাড়া নিয়ে মাত্র ৪ মাসে প্রতি লাখে ৬০০০/=টাকা ১৬ মাস পর্যন্ত এমএলএম দ্বিগুণ দেওয়ার কথা বলে ৪/৫ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে ভূয়া এমএলএম কোম্পানী খুলে হাতিয়ে নিয়েছে।

ভূয়া এমএলএম কোম্পানী ড্রিম ডিজিটাল সিটির এমডি হেলাল উদ্দিন নিউওয়ে থেকে পালিয়ে এসে উক্ত ভূয়া কোম্পনীর মালিক হয়েছেন। একই ভাবে ব্রাইট ফিউচার লিঃ উত্তরা আজমপুর রাজউক মার্কেটের পিছনে ১ লাখ টাকা স্থায়ী আমানত হিসাবে ৪৮ মাস পর্যন্ত জমা রাখলে প্রতি মাসে ৪২০০ টাকা জনগণকে প্রদান করবেন বলে প্রতি শ্রুতি দিয়ে গত ৪/৫ বছরে এমএলএম পদ্ধতির মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ব্রাইট ফিউচার থেকে রেজাউল পদত্যাগ করে হাসিবুল ইসলাম জয়কে নিয়ে ভূয়া এমএলএম কোম্পানী মেঘা সেটেলাইট সিটি লিঃ সাধারণ জনগণের মস্তিষ্কো ধোলাই করে সু-কৌশলে লোভনীয় অফার দিয়ে প্রতিমাসে প্রতি লাখে ৬০০০/=

টাকা মুনাফা দেবার চুক্তি করে ১৬ মাসে দিগুণ টাকা পরিশোধ করবে বলে ২ বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা প্রতারনার মাধ্যম গ্রহণ করে। ভূয়া এমএলএম কোম্পানীর মালিক হাসিবুল ইসলাম জয় কখনও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় তার বন্ধু আবার কখনও মরহুম হুসাইন মো: এরশাদের ভাইগ্না বলে স্থায়ী আমানত গ্রহণকারী গ্রাহকের কাছে পরিচয় দেন। স্কিল হোম ডেভেলপার্স লিঃ এর মালিক সিবলি ও দেলোয়ার চিটাগাং ৫ স্টার হোটেল বানানোর কথা বলে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের গলিতে অফিস নিয়ে ৬ মাসে ৮/১০ কোটি টাকা ১২ মাসে দ্বিগুণ ১ লাখে ২ লাখ দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

নাজরান মর্ডান সিটি এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কে ভূয়া এমএলএম কোম্পানী খুলে ৩/৪ মাসে ৬০০০/=টাকা মাসে দেয়ার প্রতি শ্রুতি দিয়ে ১৬ মাসে দ্বিগুণের আশ^াস দিয়ে ৩/৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উপরোক্ত ভূয়া এমএলএম কোম্পানীগুলো গ্রাহকদের নিকট থেকে স্থায়ী আমানত হিসাবে চুক্তি ভিত্তিক টাকা নেয়ার কোন প্রকার বৈধ অনুমোদন নেই। বিশেষ করে উক্ত ভূয়া এমএলএম কোম্পানীগুলোতে সেনাবাহিনীর (অব: প্রাপ্ত) সদস্যরাই বেশি টাকা রাখে আর ভূয়া এমএলএম কোম্পানীর পরিচালকদের টার্গেট সেনাবাহিনীর সদস্যই বেশি। ভূয়া ড্রিম ডিজিটাল সিটির বাড়ীর মালিক রাফির সাথে এমএলএম সমন্ধে পত্রিকার পক্ষ থেকে জানতে চাইলে রাফি বলেন ভূয়া ড্রিম ডিজিটাল সিটির এমডি হেলাল মিয়া এমএলএম এর মাধ্যমে প্রতারণা করে জনগণের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তা আমার জানা নাই।

তবে ড্রিম ডিজিটাল সিটি যে এমএলএম এর মাধ্যমে প্রতারনা করছে তাহা আমি দেখব। রাফি আরো বলেন, বিমান বন্দর থানা থেকে পুলিশ ড্রিম ডিজিটাল সিটিতে আসছিল তারা রিপোর্ট দিলে তাহা আমি আপনাদের জানাবো। ভুয়া ড্রিম ডিজিটাল সিটির এমএলএম ব্যবসা সম্বন্ধে বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে পত্রিকার পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড্রিম ডিজিটাল সিটি এমএলএম এর মাধ্যমে জনগণের সাথে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যাপারটি আমার জানা নাই। তবে খোজ-খবর নিয়ে আমি আপনাদের জানাবো।

পত্রিকার পক্ষ থেকে সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায় উক্ত এমএলএম ভূয়া কোম্পানীগুলোর কাহারো কোন নিজস্ব অফিস নেই। তারা বাড়িওয়ালাকে অগ্রীম টাকা দিয়েই অফিস ভাড়া নিয়ে অবৈধ এমএলএম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ডেকোরেশন পর্যন্ত করার প্রয়োজন হয়নি। ড্রিম ডিজিটাল সিটির অফিসের ডেকারেশন পর্যন্ত অন্য কোম্পানীর তৈরী করা। তারা অন্যের তৈরী ডেকোরেশনে বসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। হাউজ বিল্ডিং এ নাজরানের অবৈধ এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করছেন অশিক্ষিত মূর্খ মোশারফ, আতাউর গংরা মিলে।

মোশারফ আতাউর গংরা নিউওয়ে থেকে পালিয়ে এসে হাউজবিল্ডিং থেকে জনগণের টাকা প্রতারনার মাধ্যমে গ্রহণ করে আবার কোথাও পালিয়ে যাবে। মোশারফের লজ্জা সরম বলতে কিছুই নেই। কিছু দিন পূর্বে এর্থ টাওয়ারের সামনে মোমারফকে পাওনাদার জুতা পেটা করেছে নিউওয়ে থেকে পালিয়ে আসার পর মোশারফের নামে কয়েকটি মামলা হয়েছে। মোশারফ ও আতাউর গংদের কোন জমি নাই। জনগণকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে তাদের টার্গেট যত টাকা সংগ্রহ করতে পারলেই তারা পালিয়ে যাবে। বাংলাদেশে কোন একটি এমএলএম কোম্পানীও পারে নাই জনগণের টাকা ফেরৎ দিতে। তারাও পারবে না। উক্ত সকল কোম্পানীগুলোই জনগণের সাথে বিশ^াসঘাতকতা করে তাদের কষ্টার্জিত টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবে। সূতরাং উক্ত ভূয়া এমএলএম কোম্পানীর বিরুদ্ধে সরকারের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও থানা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, ডিবি’র হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় জনগন।

জনগণকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে তাদের টার্গেট যত টাকা সংগ্রহ করতে পারলেই তারা পালিয়ে যাবে। বাংলাদেশে কোন একটি এমএলএম কোম্পানীও পারে নাই জনগণের টাকা ফেরৎ দিতে। তারাও পারবে না। উক্ত সকল কোম্পানীগুলোই জনগণের সাথে বিশ^াসঘাতকতা করে তাদের কষ্টার্জিত টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবে। সূতরাং উক্ত ভূয়া এমএলএম কোম্পানীর বিরুদ্ধে সরকারের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও থানা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, ডিবি’র হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় জনগন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 − 1 =