বাকেরগঞ্জ অস্ত্রধারী ডাকাত মুছা ফের বেপরোয়া

0
526

তালুকদার মো: শহীদ: বরিশাল বাকেরগঞ্জ, বিভিন্ন স্থানীয় জাতীয় ও অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকায় অস্ত্রধারী ডাকাত মুছার অপরাধ কর্মকান্ড প্রকাশিত হওয়ার পরেও থেমে নেই বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে আউলিয়াপুর গ্রামের হামজা-গো বাড়ির লাঠিয়াল বাহিনীর সরদার মোক্তারের কুলঙ্গার পুত্র। বাকেরগঞ্জের সাবেক জামায়তের সেকেন্ড ইন কমান্ড অস্ত্রধারী ডাকাত মুছা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অভিযোগ ভিত্তিতে জানা যায়, অস্ত্রধারী ডাকাত মুছা দীর্ঘদিন যাবৎ ঐ এলাকায় চাদাবাজি, ডাকাতি, জমি জবর দখল সহ এমন কি জঘন্যমত কাজ হত্যা, ধর্ষন, লুটতরাজ করে জামায়েত শিবিরকে অর্থের যোগান দেয়।

মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহন করার পর, জামায়াত শিবিরের একাত্তরের মানবতা বিরোধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে। তার ধারাবাহিকতা দেশের জামায়াতের সেক্রেটারীকে ফাসির দন্ডে দন্ডিত করেন। তখন জামায়াতের অনেক সক্রিয় সদস্য দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় জামায়াতের মিশন সফল হয় নাই। দেশে শুরু হলো ধরপাকর।

অনেক জামায়েত শিবির সদস্য আটক হওয়ার পর জেল হাজতে রয়েছে। আর বাকি কিছু খোলস বদল করে আত্মগোপনে থেকে মহাজোট সরকারের শরীক দলের সাথে আতাত করে। পালা বদল করলে কি হবে। তাদের নৈরাজ্য সন্ত্রাসী ও ডাকাতী কর্মকান্ড থেমে থাকে নি। তাদের মধ্যে জামায়াত শিবিরের সক্রিয় সদস্য ও অস্ত্রধারী ডাকাত মুছা।

সূত্র জানায়, কে এই অস্ত্রধারী ডাকাত মুছা? খোজ খরব নিয়ে যত দূর জানা গেছে বি এন পি – জামায়াত ক্ষমতায় থাকা কালীন সময় অস্ত্রধারী ডাকাত মছুা বাহিনীর কমান্ডার মুছার ভয়ে এলাকার শান্তি প্রিয় নারী-পুরুষ ঠিক মতো ঘরে ঘুমাতে পারেনি। এলাকার বখাটে অলি, রিপন, হালিম, মোক্তার, আরও অনেক এদেরকে নিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলা হয়।

যার নাম দেওয়া হয় অস্ত্রধারী ডাকাত ও সন্ত্রাসী মুছা বাহিনী। এ বাহিনী ভৈরম খাঁর দীঘির পারে দক্ষিণ পশ্চিম কোনে পুলিশ সদস্য আব্দুস সত্তার তালুকদারের ঘর ডাকাতি সহ চাদাবাজি ৬০ হাজার টাকা চুরি, ডাকাতি, চাদাবাজি, ছিনতাই, ইভটিজিং, ধর্ষন, হত্যা, নৈয়ারবাড়ির অন্ধ খোরশেদ প্যাদার গোরস্থান সহ জমি জবর দখল, মো: আজিজ তালুকদার, মো: জব্বার তালুকদার, মো: ইউসুফ তালুকাদারের জমি জবর দখল সহ চাদাবাজি ৫০ হাজার টাকা। এই দুইজনের কাছে আরোও ২ লক্ষ টাকা চাদাদাবি করেও, পুলিশের ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকে।

একই এলাকার দরগা বাড়ির সামনে মাহাবুব ফকিরের মুদি দোকান ডাকাতি, জামাই মানিকের অটো বাইক চুরি, আসাদ তালুকদার, হারুন খলিফার মটর সাইকেল চুরি, বার আউলিয়ার দরবার শরীফের দান বাক্সের তালা ভেঙ্গে ডাকাতি, দান বাক্সে লাশা মেরে টাকা তোলা-(দরবার শরীফে মহিলা দর্ষনাথীদের ইভটিজিং সহ ধর্ষন) এই ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় অস্ত্রধারী ডাকাত মুছা বাহিনী। কারন একটাই বাকেরগঞ্জ থানা ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন থানা থেকে ৫ কি.মি দূরে অবস্থিত।

অস্ত্রধারী ডাকাত, চাদাবাজ ও ছিনতাইকারী, ইভটিজিং, ধর্ষন, জমি জবর দখল এই অপকর্ম না করতে পারে, মুছাকে আইনের আওতায় এনে এবং এই অপকর্ম ও কু-কর্ম থেকে রেহাই পেতে পারে তাহার জন্য পুলিশ ও র‌্যাব উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসি। চলবে-২

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 + twelve =