১নং বৈরাগ ইউনিয়নের রূপকার আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোলায়মান

0
502

রাশেদুল ইসলাম: সোলায়মান সাহেবের জন্ম ৫ জানুয়ারি ১৯৫১ সালে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম। পিতা মৃত আমু মিয়া মাতা মৃত চেমন খাতুন। আনোয়ারা উপজেলার গুয়াপঞ্চক বৈরাগ গ্রামে জন্ম। পড়াশুনা করেছেন নিজ এলাকায় ১৯৭০ সালে ৮ই এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার ১ দফা ইস্ট পাকিস্তান কোটায় চাকুরী পেয়েছিলেন। তখন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশে উদজ্জীবিত হয়ে দলকে ভালবেসে গিয়েছেন এবং দলের সাথে নিজেকে সার্বক্ষণিক সম্পৃক্ত রেখেছেন তখন, বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭০ সালে করাচী এয়ারপোর্ট রিসিল করে। এই বর্ষিয়ান নেতা, মূলত: নির্বাচনী প্রচারনায় গিয়ে ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিস্তার পাকে বঙ্গবন্ধু মিটিং করেছিল। ঐ মিটিং এ বাঙালীর চেয়ে অবাঙ্গালীই ছিল বেশি। মুজিব তখন সকলের উদ্দের্শ্যে বলেছিল আমি উর্দু জানিনা টোটা কাটা উর্দু বলে গা আপলেক সমচার রিজিয়ে প্রায় ১ (এক) ঘন্টা তেইশ মিনিট। বক্তব্য রাখে পুরো সময় ধরে উর্দুতেই কথা বলেন।

তবে উর্দুভাষীরা মুজিবের কথা শুনে বলেছিল, শেখ মুজিব তো বাঙ্গাল হে টাইগার হে। ঐ কথা শুনার পরে প্রবিন নেতা সোলায়মান মুজিবের আর্দশকে ভালবেসে দলে যোগদান করেন আজও পর্যন্ত মুজিবের আর্দশকে লাল করে অবিরত পথ চলা। ওখানে ছয় মাসও চাকুরী না করে দেশে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে দলের সাংগঠনিক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তখন বিমান বাংলাদেশে যোগদান করেন। ১৯৭২ সালে দীর্ঘ ৩৯ বছর চাকুরী করেন সততার সহিত। এর মধ্যে ট্রেড ইউনিয়নে ২২ বছর শ্রমিক রাজনীতিতে অর্গানাইজিং ডেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, পরবর্তীতে এজিএস নির্বাচিত ও জি এস নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে সিবিএ’র সভাপতির নির্বাচিত হন। এদিকে ১৯৮০ সালে আপিলী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এই বর্ষিয়ান নেতা এদিকে ১০ই জানুয়ারি ১৯৭২ সালে মুজিবকে রিসিব করে, ওয়াজে ট্রান্স মোট ফেডারেশনে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে এবং ম্যান ওম্যান মধ্যে প্রথম হন। ২০০৪ সালে জেনেভা সম্মেলনে যোগদান করেন। সেখানে সফলতার উপর এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইচ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দু’বছরের জন্য।

ঐ সম্মেলনে এয়ার ক্রাপর্ট লোন বিশ্ব ব্যাংক আটকিয়ে দিয়েছিল সেখানেও বিচক্ষণতার পরিচয়ে দিয়েছিলেন। এবং সেগুলো উন্মক্ত করেন। ২০০৮ সালে জনগণের সমর্থন দিয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন করেন সতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তবে কারণে অকারনে পরাজিত হন। ২০১৬ সালে জনগণের সমর্থন নিয়ে ইউপি নির্বাচিত হন।

উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন জনগণের সাথে কথা বলে জেনে নিন, জনগণই বলবে উন্নয়নমূলক কাজ কতোটুকু করিতে পেরেছি। আমিতো বলবো শতভাগ কাজ করেছি। তার চেয়ে আপনারা আমার ইউনিয়ন ঘুরে দেখেন জনগণের সাথে কথা বলে জেনে নিন উন্নয়নমূলক কাজের কিছু চিত্র আপনাদের মাধ্যমে তুলে ধরলাম, আমার সেবায় ইউনিয়নবাসী কতটুকু সন্তুষ্ট আছে বৈরাগে দুটো কালভার্ট প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে বন্দর রোড ৮ ফুটের জায়গায় ১২ ফুট ৪০ দিনে ৭ লক্ষ টাকার মধ্যে দুই লক্ষ টাকার কর্মসূচির মধ্যে কালভার্ট ৩০ লক্ষ টাকা।


মন্ত্রী মহোদয় প্রায় দেড় কোটি টকা বরাদ্দ দিয়েছেন আবদুল আজিজ ডিসি রোড পাকা করণের জন্য মোট ৪ কিলো অর্ধেক হয়েছে বাকী অর্ধেক চলমান। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে সিসি ঢালাই করা যাচ্ছে। শাহজালাল রোড গুয়াপঞ্চক চলমান বৈরাগ জুনিয়র হাই স্কুল গুয়াপঞ্জক দেওয়ান বাজার রোড তিন কিলো পিচ ঢালাই খান বাড়ী রোড দেড় কিলো: মি পাকা করেছে। বদলপুড়া ১২ লক্ষ টাকার রড ঢালাই হয়েছে।

কণফুলী ডকইয়ার্ডকে ধরে ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বদলপুড়া রাস্তা পাকা করন। উত্তর বন্দর রোড ও কিলোমিটার ঢালাই বৈরাগ মোহাম্মদপুর। পাইলটচড় শাখা রোডগুলো পাকা করণ করেছে। কান্তির হাট সড়ক ১০ লক্ষ টাকার রড ঢালাই এ ধরনের পাকা আধা পাকা রাস্তা মেরামত এবং ড্রেন কালভার্টের কাজ করেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান রয়েছে। সরকারী সকল ভাতা সঠিকভাবে বন্টন করেছি। গুয়াপঞ্চকে হাইস্কুলের তিনবারের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিম খানার সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছি।

পিতা আমার নামে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছে। তবে জায়গাটি আমার পিতার নামে হলেও সরকারি খরচে নির্মিত হয়েছে। তবে আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পূর্বেই কমিউনিটি ক্লিনিক করে আজ হাজার হাজার মানুষ সেবা পাচ্ছে এই ক্লিনিক থেকে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, অর্থাৎ সরকারের সফল ভাতা নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি কাহারো কোন অভিযোগ থাকবে না। গ্রাম আদালতের ব্যাপারে তিনি বলেন সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সমাজের অধিকাংশ মামলা গ্রাম আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হয়েছে। এটা সফলতার আরেকটা দিক।

তবে একটা বিষয় না বললেই নয়। ত্রিশ বছরের পুরানো মামলাও নিষ্পত্তি হয়েছে এই গ্রাম আদালতের মাধ্যমে। পারিবারিক বিষয়ক নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে বেশ সুখেই আছি। জনগণের সঠিক সেবা দিতে পারলেই প্রকৃত সুখ। বড় ছেলে আমেরিকায় থাকে, ছোট ছেলে কানাডায় থাকে। মেয়ে বিমানে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে আমেরিকায় আছে।

জামাতা বিমানের পাইলট। উপজেলা নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন জনগণ চাইলে কেন নয়। সরকারের কাছে ব্যক্তিগত কোন চাওয়া নেই। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে আমার ইউনিয়ন জনগণের চাহিদা পূরণ করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। মন্ত্রী মহোদয় একাডেমী ভবন করার জন্য তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ১২০ ফুট লম্বা ৪০ ফুট প্রস্থ চারতলা ভবণ। কখনো ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হইনি। ইউনিয়নের মেম্বারের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৩০% কাজ করে ৭০% খেয়ে ফেলে। আমার মনের মতো ইউপি মেম্বার পাইনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 5 =