Site icon Aparadh Bichitra

সাপ্তাহিক তদন্তচিত্র পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন- সাংবাদিক নাদিরা দিলরুবা

গত ২৬শে আগস্ট-২০১৯, সোমবার সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্র পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত “উত্তরার কথিত নারী সাংবাদিক নাদিরার হলফনামা-১” শিরোনামে যে সংবাদটি ছাপানো হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অপরাধ বিচিত্রার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক নাদিরা দিলরুবা। তিনি বলেন, অপরাধ বিচিত্রায় কর্মরত সময় আমার সাংবাদিকতা পেশায় দীর্ঘদিন আমি বিভিন্ন সেক্টরের অপরাধ সম্পর্কিত অনূসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করেছি। আমি অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতার সুবাদে দেশের প্রায় তিনশ‘র বেশী থানায় ভিজিট করেছি। বিএনপি সরকার, তত্ববধায়ক সরকার ও যৌথবাহীনির সরকার, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সুদীর্ঘ সময়ে নানা শ্রেনী-পেশার সাথে কাজ করার ও মেশার সুযোগ হয়েছে।

অনলাইন পত্রিকা তদন্ত চিত্র র সম্পাদক পরিচয় নামধারী জিয়াউর রহমান অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে না জানিয়ে, আমাকে কোন আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে চরিত্রহীনা, চাঁদাবাজ, অশিক্ষিত দাবি করে মানহানিকর বানোয়াট ভিত্তিহীন মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করায় আমি সামাজিক, মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। উক্ত বানোয়াট রিপোর্টে আমাকে অশিক্ষিত বলে দাবী করা হয়েছে। আমি মহিলা পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট থেকে ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে চার বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে প্রধানমন্রীর প্রয়াত স্বামী ড.ওয়াজেদ মিয়া স্যারের অধীনে বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশন ঢাকা থেকে শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ নেই।

পরে সহকারী প্রকৌশলী ও প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলাম।বর্তমানে বাংলাদেশ হোমিও বোর্ড এর অধীনে ডিএইচএমস কোর্সে দিত্বীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।বরং আমি উক্ত অনলাইন পত্রিকা তদন্তচিত্রের সম্পাদকের সাংবাদিকতা জ্ঞানের দৌড় কতটুকু সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছি। সাংবাদিকতার কিছু নীতিনৈতিকতা নিয়ম আছে, যার কোনটা সে অনুসরন করেনি। তদন্ত চিত্রের জিয়াউর রহমানের এহেন কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিপন্থী। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ভুয়া সংবাদ প্রকাশের কারনে আমার জীবন এখন সংকটাপন্ন। ২০০৩ সাল থেকে আমি সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় কর্মরত।

কতিপয় দুর্নীতিবাজদের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত চিত্রে বানোয়াট মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করার উদ্দেশ্য হলো ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে ফেলে মানহানি করে হয়রানি করার মাধ্যমে জীবননাশের চেষ্টায় লিপ্ত। তাই চাঁদাবাজ ও চরিত্রহীনের তকমা দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য বিভিন্নভাবে আমাকে যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে আমার আশংকা। এছাড়া সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় প্রতারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। অনলাইন পত্রিকা তদন্ত চিত্রের সম্পাদক দাবীকারি জিয়া দ্বারা যে অশালীন আক্রমণাত্মক ভাবে হেনস্থা হয়েছি তা পুর্বে কোন গনমাধ্যম কর্মীদ্বারা কোন অশালীন ইভটিজিং এর সম্মুখীন হইনি। আমি গত ২/৪/০৯ থেকে ৭/৫/১৯ পর্যন্ত ১১ বছরে২৩ বার সেচ্ছারক্তদান করেছি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ল্যাবে।

তুরাগ থানার অনুরোধে বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার অপমৃত্যুর লাশের সুরতহালে সহযোগীতা সহ মৃতদেহ গোছল করিয়েছি। আমি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মিডিয়া সেলের একজন প্রোমাষ্টার ও সেচ্ছাসেবী। ৫/১০/১২ সালে আমি সন্ধানী চক্ষুদান ব্যাংকে মরনোত্তর চক্ষুদান অঙ্গীকার করি। সারা বাংলাদেশে আমার একটি মাত্র সেভিং একাউন্ট আছে। উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড। বানিজ্য শাখা, উত্তরা। যার হিসাব নং – 0011100113584। তাতে কত টাকা আছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও গনমাধ্যম ক্ষতিয়ে দেখুক। গত ১৭ বছর ধরে সাংবাদিকতাই আমার পেশা । খুব সাধারন জীবনযাপন করি আমি।

আমি কোন কোম্পানি বা কোন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতে যাইনি। সংবাদে কোন কোম্পানিতে গেলাম, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করলাম, আমার গ্যাং বাহিনী কাদের নিয়ে গঠিত, আমার আয় বহির্ভূত সম্পদ, সে সব প্রতিষ্ঠান কোন কোন ব্যাক্তি থেকে চাঁদা নিয়েছি তার কোনউল্লেখ নেই যা আমার ফোনকল রেকর্ড পর্যালোচনা করলে প্রমান হবে রিপোর্ট টি মিথ্যা। আমার বক্তব্য সত্য প্রতীয়মান হবে। আরো প্রমানিত হবে সততার সাথে জীবনযাপন করি। সাংবাদিক নাদিরা দিলরুবাকে চরিত্রহীন ও চাঁদাবাজ বলে মন্তব্য করে তথা কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী জিয়াউর রহমান। এসব অপ-প্রচারেরর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় অনেক দুর্নীতিবাজদের মুশোখ উম্মোচন করেছেন, সে কারনে দুর্নীতিবাজদের দ্বারা বহুবার হয়রানির শিকার হয়েছেন।