প্রবাদপ্রতিম শিল্পীদের গান অবশ্যই গাও, কিন্তু একটা সময়ের পর নিজস্বতা প্রয়োজন

0
759

রানু মণ্ডল লতা মঙ্গেশকরের ‘এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায়’ গেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছেন। রানাঘাটের স্টেশনে বসেই গান গাওয়ার সময় স্থানীয় দু’জন তরুণ অতীন্দ্র এবং তপন গোটা ব্যাপারটা ভিডিও করেন। তারপরেই ইন্টারনেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।  ইতোমধ্যেই ইতিহাস গড়েছে ‘রানুদি’-র গান।

যাঁর গান গেয়ে আজ রানু মণ্ডল তারকা, তাঁর কানেও পৌঁছেছিল এই খবর। রানুর জার্নির কথা শুনে স্বয়ং সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর ভারতের গণমাধ্যম আইএনএস-কে বলেছেন, ‘যদি আমার নাম আর কাজে কারো মঙ্গল হয় তাহলে বুঝবো ভালো কপাল নিয়েই জন্মেছি, আমি ভাগ্যবতীই বটে।’ ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে বেশ কিছু মিমে।

সেখানে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তুলনাও টানা হয়েছে রানুর। এ সব দেখে স্বভাবতই বিরক্ত লতার ভক্তরা। কিন্তু কী বলছেন লতা নিজে? রানুর সাফল্যকে কোনওরকম ভাবে ছোট না করেও কিন্তু লতা বলেন, আমি মনে করি শুধু অনুকরণ করে সাফল্যকে বেশিদিন বিশ্বাসযোগ্য ভাবে ধরে রাখা যায় না। উঠতি গায়ক-গায়িকারা আমার, কিশোরদার, রফি সাহাব, মুকেশ ভাইয়া কিংবা আশার গান গেয়ে সাময়িক স্টারডম পান ঠিকই, তবে এর স্থায়িত্ব বেশিদিনের নয়।

লতা বলেন, অনেকেই খুব সুন্দর করে আমার গান করেন। কিন্তু তাঁদের ক’জনকে পরবর্তী সময়ে লোকে মনে রাখে? আমার তো শ্রেয়া ঘোষাল আর সুনিধি চৌহান ছাড়া আর কারও কথা মনেই পড়ছে না। নতুন প্রজন্মের গায়ক-গায়িকাদের জন্য লতাজির বার্তা, ‘প্রবাদপ্রতিম শিল্পীদের গান অবশ্যই গাও। কিন্তু একটা সময়ের পর নিজস্বতা প্রয়োজন। তাহলেই লোকে তোমায় মনে রাখবে।’

এ প্রসঙ্গে নিজের বোন আশা ভোঁসলের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘যদি আশা কেবল আমার ছায়ায় থাকত, নিজস্ব স্টাইলে গান না গাইত, তাহলে আজ ও এত সফল হতো না। নিজস্বতা বজায় থাকলে মানুষ কতদূর পৌঁছতে পারে, আশা তাঁর আদর্শ উদাহরণ।’

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen − 4 =