উপজেলা ভূমি অফিস হবিগঞ্জ সদর কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ঘুরিয়েও ঘুষ ব্যতিত সেবা প্রত্যাশীরা পাচ্ছেন না সেবা

0
924

হবিগঞ্জ জেলা : দীর্ঘদিন যাবৎ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মানিক মিয়া গড়ে তুলেছেন ঘুষ রাজ্য। সরেজমিনে ভুক্তভোগীর নিকট হইতে অবগত হওয়া যায় যে, তিনি ঘুষ ছাড়া প্রদান করেন না কোন রিপোর্ট। প্রতিটি ফাইলেই তাহাকে প্রদান করতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। যদিও মাননীয় সচিব মহোদয় ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত থাকার জন্য শপথ গ্রহণ করিয়াছেন, তারপরেও দেখা যায় ঘুষ বাণিজ্যের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যে নামজারী নথিতে ৮০০/- টাকা নেওয়া হইত, সেখানে বর্তমানে ২২০০/- টাকা এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৪০০০/- টাকা নির্ধারণ করিয়াছেন মানিক মিয়া, কিন্তু সরকারী ডিসিআর মাত্র ১১৪৫/- টাকা। সাধারণ মানুষ নামজারী হইতে নামজারী করতেও গুনতে হচ্ছে ১২০০০/- টাকা এবং যদি তার চাহিদা পূরণ করা না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নামজারী নথিজাত করে ফেলেন। ভূমি অফিসের কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিদর্শনে আসলে দেখা যায় যে, মানুষের নামজারীর নথি নথিজাত করে নিস্পত্তি দেখানো হয়।

যাহাতে করে মানুষের হয়রানী আরও বেরে যায়। ইহা ভূমি অফিসের বাতিলকৃত নথির তালিকা খুজলেই বুঝা যাবে বিনা কারণে মানুষকে হয়রানী করা হচ্ছে। মানিক মিয়া তাহার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বশিভুত করে সিসি ক্যামেরা থাকা স্বত্বেও সরাসরি অর্থ লেনদেন করে যাচ্ছেন। যাহা সিসি ক্যামেরা পরিদর্শন করলেই পাওয়া যাবে। ই-সেবার নামজারীতে মানুষের ভোগান্তি কম হওয়ার কথা, কিন্তু দেখা যায় ৬/৭ মাসেও মানুষ নামজারী পাচ্ছে না। যদি মানিক মিয়া সহ তাহার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়া হয়, তাহলে নামজারী হয়ে যায়।

যে কোন রিপোর্ট নথিপত্র কোন কার্যক্রম করতে গেলেই মানিক মিয়া সিন্ডিকেট ছাড়া কোন কার্যক্রম অত্র অফিসে সম্পাদন হয় না। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মানিক মিয়া ব্যতিত কোন কার্যক্রম পরিচালনা করেন না। তাতে মানিক মিয়া সহজ সরল জনসাধারণের নিকট হইতে হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। শুধু এই না, অফিস চলাকালীন সময়ে ফেইসবুক এবং মোবাইলেই অধিকাংশ সময় পার করেন।

চরিত্রহীন মানিক মিয়া মোবাইল ফেইসবুকের কারণে শুধু ২য় বিয়ে নয়, অনেক নারীর আসক্ত হয়েছেন এবং অফিসের মহিলা কর্মচারীদেরকে নিয়া বেশীরভাগ সময় পাড় করেন তিনি। যাহা অফিসের সিসি ক্যামেরা পরিদর্শন করিলেই পাওয়া যাবে। মানিক মিয়া টাকা ছাড়া কাউকে কোন প্রকার সেবা দিচ্ছেন না। দীর্ঘদিন যাবৎ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিসে পড়ে রয়েছে অনেক ফাইল ও নামজারী নথি, বিবিধ মোকদ্দমা,

সহজ সরল বহু মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছেন মানিক মিয়ার নিকট এসে। আবারও অনেকেই মানিক মিয়ার নিকট এসে লাঞ্চিত হচ্ছেন।
এক সূত্রে জানা যায় সদর উপজেলা ভূমি অফিসের প্রতিটি কর্মচারীই হাতিয়ে নিচ্ছেন অফিসে আসা সেবা প্রত্যাশীদের নিকট হইতে হাজার হাজার টাকা। টাকা প্রদান না করিলে সেবা প্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন ঘুরিয়েও পাচ্ছেন না কোন সেবা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × 1 =