বাংলাদেশ এমনিতেই একটি ক্ষুদ্র ভুখন্ডের দেশ। ৭ লাখের ওপর রোহিঙ্গা স্মরনার্থীর ভারে যখন দেশের অবস্তা ত্রাহি ত্রাহি সেখানে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত না যেয়ে উল্টো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বৃহত্তর সমাবেশ করেছে। সমাবেশ থেকে বলা হচ্ছে তাদেরকে মিয়ানমারে নাগরিকতা দিয়ে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলে ফেরত যেতে পারে। তবে অধিকাংশ রোহিঙ্গা ফেরত না যাবার পক্ষে। যারা ফেরত যেতে চায় তাদেরকে যারা ফেরত যেতে চায় না তারা হুমকি দিচ্ছে। এদিকে মিয়ানমার থেকে আসা এত বিশালাকারের স্মরনার্থীরা কক্স্রবাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকার অধিবাসিদের ওপর জুলুম চালাচ্ছে। পৃথিবীর কোন দেশে এত বিশালাকারের স্মরনার্থী নেই। রোহিঙ্গাদের হাতে দেশী অস্ত্র এসে গেছে। অভিযোগ রয়েছে কিছু এনজিও ওদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। এনজিওরা চায় না ওরা নিজ দেশে ফেরত যাক।
কারন রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে এনজিওগুলো প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর ওপর অবার রয়েছে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত। সরকারের শত প্রচেষ্টা থাকা সত্বেও ওরা ফিরে যাচ্ছে না। মিয়ানমারের সাথে বিশে^র তেরটি দেশ চুটিয়ে ব্যবসা করছে। এসব দেশ স্বভাবতই রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের পাশে দাঁড়াবে। বাস্তবে হচ্ছেটাও তাই। নিয়ানমার মাত্র কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নিয়ে বিশ^কে দেখাতে চায় তারা সমস্যাটি সামাধানের চেষ্টা করছে। এটা আমাদের দেশের জন্য একটি ধোকা ছাড়া কিছুই নয়।
রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যে সরকারী দলের এক নেতাকে হত্যা করে সমালোচনার তুঙ্গে উঠছে। রোহিঙ্গা নেতার মেয়ের কান ফুটানোর অনুষ্টানে এক কেজি স্বর্ণ ও ৪০ লাখ টাকার উপহার আমাদেরকে কী বার্তা দিচ্ছে তা বিবেচনায় রাখতে হবে। এক সময় ওদেরকে এদেশের লোক উদার হচ্ছে টাকা ও খাদ্যদ্রব্য সহ কাপড় সরবরাহ করেছে। এখন ওরা এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠছে যে ওদেরকে সাহায্য করতে গেলে উল্টো ফেঁসে যেতে হবে।
ওরা এদেশের নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে অনেকে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। এক শ্রেণীর পুলিশ ও পাসপোর্ট কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে ওদেরকে সার্বিক সাহায্য করছে। ওরা গোটা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। সরকার প্রশাসন ওদের সাথে কমই পেরে ওঠছে। ওদের বিশাল সমাবেশ এক সময় আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের সন্মুখীন যে করবে না তার নিশ্চয়তা কে দিবে?