Site icon Aparadh Bichitra

চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক — তথ্যমন্ত্রী জননেতা ড. হাছান মাহমুদ এমপি

মোঃ কামাল হোসেনঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক। তাই তিনি বে টার্মিনাল নির্মাণ করছেন। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে। লালদিয়ায় কাজ শুরু হয়েছে। বন্দরের যা সক্ষমতা তা আরো বাড়ানোর প্রয়োজন। এতে করেই আমদানি-রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হবে।তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। তবে পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হতে এগিয়ে নিতে বন্দরের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতির সঙ্গে শুধু সমগ্র দেশের উন্নয়ন জড়িত, তা নয়। এ বন্দরের উন্নতির সঙ্গে পুরো রিজিয়নের উন্নতি নির্ভর করে। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হচ্ছে। বন্দর তালিকায় ৬ ধাপ এগিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন,

৭০ থেকে বন্দর তালিকায় ৬৪ তে এসেছে। এ উন্নয়ন কয়েক শতাব্দী থেকে যাত্রা শুরু করে। অঞ্চল উন্নয়ন ছাড়া যেমন দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তেমনি আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা ধীরে ধীরে দেশের উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগে আকাশ থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে ৫০, ৬০, ১০০ জাহাজ দেখা যেতো। এখন অতো জাহাজ থাকে না। এটি প্রাকৃতিক বন্দর। কয়েক শতাব্দী আগে প্রতিষ্ঠা। সেভেন সিস্টার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায়। ইউরোপে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে ভিসা লাগে না।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের পরিচয় দিয়ে গেছেন। সেই পরিচয় মুছে ফেলতে, কালিমা লেপন করতে জিয়া-এরশাদ-খালেদা ষড়যন্ত্র করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরও তার বাইরে ছিলো না।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের সমুদ্র বন্দরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৫০ এ নিয়ে যেতে কাজ করছে সরকার। চলতি বছর ৬ ধাপ এগিয়ে লয়েড লিস্টে বন্দরের অবস্থান ৬৪। বন্দরকে আরো আধুনিক করতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশকে যে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে তা প্রশংসনীয়। তার উন্নয়ন পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম বন্দরও সম্পৃক্ত ছিল। সময়ের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি সেক্টরকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম,

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, শেখ হাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি ও সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বাফা’র বন্দর কাস্টম বিষয়ক পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ,

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, বিজিএমইএর নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন, বিকেএমইএর পরিচালক শওকত ওসমান, শিপার্স কাউন্সিলর অমিয় শঙ্কর বর্মন, নুরুল হক, বারভিডার সভাপতি আবদুল হক প্রমূখ।