প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

0
421

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার মো. মন্তাজ আলীকে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুলাউড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুলাউড়া থানায় মামলা (মামলা নং-১০) দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর ফুফু আমিনা আক্তার।

মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুলাই প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী ফারজানাকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি প্রদানে বিলম্বের কারণ জানতে তার ছেলে জাকারিয়াকে দিয়ে অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক অফিসের দরজা বন্ধ করে বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে ছাত্রীর পিঠে ও হাতের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায়।

ঘটনার তিনদিন পর বুধবার স্কুলছাত্রীর পিঠের জখম দেখার কথা বলে তার পরনের কামিজ খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে এবং মোবাইল ফোনে কয়েকটি আপত্তিকর ছবি তুলেন। এবং এসব কথা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে বলেন, কাউকে কিছু বললে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হবে।

এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আইয়ুর উদ্দিন জানান, একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার ঘটনার তদন্ত করা করছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার বাদী স্কুলছাত্রীর ফুফু জানান, মেয়েটিকে ক্লাসে ঢুুকতে দেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক তাকে জরুরি দরকার আছে বলে ডেকে নিয়ে যান অফিস কক্ষে। এ সময় তার ছেলেকে সাথে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছবি তুলেছেন। আমি নিজে জানালার পাশ থেকে ছবি তুলতে দেখেছি। তাৎক্ষণিক বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কয়েকজন ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানিয়েছি।

ওই স্কুলছাত্রী জানায়, স্যার ও তার ছেলে আমার আপত্তিকর ছবি তুলেছেন। ছবি না উঠালে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। কিছুদিন আগে পরীক্ষার ফি দিতে দেরি করায় স্যার আমাকে মারধর করেছিলেন। স্যার বিভিন্ন সময়ে অনেক ছাত্রীদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন। কেউ এর বিচার করে না।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামি জাকারিয়াকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 + fifteen =