আশুরা মূলত একটি শোকাবহ দিন

0
559

আশুরা মূলত একটি শোকাবহ দিন, কেননা এদিন নবী মুহাম্মদ সাঃ – এর দৌহিত্র হুসাইন ইবনে আলী নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন!

কিন্তু ইসলামের ইতিহাসে এই দিনটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ!

♦👉 এই দিনে আসমান ও যমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল!

♦👉 এই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম আঃ -কে সৃষ্টি করা হয়েছিল!

♦👉 এই দিনে আল্লাহ নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন!

♦👉 এই দিন নবী মুসা আঃ – এর শত্রু ফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে দেয়া হয়!

♦👉 এই দিন নূহ আঃ – এর কিস্তি ঝড়ের কবল হতে রক্ষা পেয়েছিলো, এবং তিনি জুডি পর্বতশৃংগে নোঙ্গর ফেলেছিলেন!

♦👉 এই দিনে দাউদ আঃ – এর তাওবা কবুল হয়েছিলো!

♦👉 এই দিন নমরূদের অগ্নিকুণ্ড থেকে ইব্রাহীম আঃ উদ্ধার পেয়েছিলেন!

♦👉 এই দিন আইয়ুব আঃ দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেছিলেন!

♦👉 এই দিন আল্লাহ তা’আলা ঈসা আঃ – কে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন, যদিও ভিন্ন মতে ঘটনাগুলোর অনেকগুলোই এই দিনে ঘটেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়নি!

♦👉 এই তারিখেই কেয়ামত সংঘটিত হবে, যদিও এই বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে!

এ ছাড়াও এই দিনের আরও অসংখ্য ঘটনা রয়েছে!

#ইমাম_হুসাইন_এর_শাহাদাৎ

হিজরী ৬০ সনে এজিদ বিন মুয়াবিয়া পিতার মৃত্যুর পর নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসাবে ঘোষণা করে, তার সম্পর্কে বলা হয় যে সে মদ্যপানকে বৈধ ঘোষণা করেছিল, অধিকন্তু সে একই সঙ্গে দুই সহোদরাকে বিয়ে করাকেও বৈধ ঘোষণা করেছিল, শাসক হিসাবে সে ছিল স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী, ইমাম হুসাইন এজিদের আনুগত্য করতে অস্বীকৃত হন এবং ইসলামের সংস্কারের লক্ষ্যে মদীনা ছেড়ে মক্কা চলে আসেন মক্কা থেকে তিনি কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, শেষ পর্যন্ত তিনি কারবালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, এ সময় উমর ইবনে সাদ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে, কয়েক ঘণ্টা পর শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদির নেতৃত্বে আরো বহু নতুন সৈন্য এসে তার সাথে যোগ দেয় কারবালায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয় এবং যুদ্ধ শুরু হয়, এই অসম যুদ্ধে ইমাম হুসাইন এবং তাঁর ৭২ জন সঙ্গী শাহাদৎ বরণ করেন!

শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদি নিজে কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হুসাইনকে হত্যা করে!

সেদিন ছিল হিজরী ৬১ সনের ১০ মুহররম!

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 + 3 =