স্টাফ রিপোর্টার :
ধামরাইতে প্রধান মন্ত্রীর কার্য্যালয়ের প্রকল্প জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে ঘর নির্মান প্রকল্প ২০১৯ এর আওতাধীন ২শত ৩৮টি ঘর নির্মানের জন্য ২ কোটি ৩৮ লাখ প্রকল্পে । ধামরাইয়ের সাবেক উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) নিম্নমানের টিন, কাঠ, খুটি দিয়ে ঘর নির্মান করেন। প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকা স্বত্ত্বেও ইউ এন ও আবুল কালাম দুর্নীতি অনিয়ম করে প্রতিটি ঘরে ৪০/৪৫ হাজার টাকা খরচ করেন।
বাকী টাকা গুলো লুটপাট চালিয়ে তিনি তরিঘরি তদবির করে সিনিয়র সহকারী সচিব জন-নিরাপত্তা বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে বদলি হয়ে নিজেকে বাচাঁনোর চেষ্টা করছে। এই আবুল কালাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সময় ছাত্রলীগের সদস্য হওয়ায় তিনি দাপটের সাথে প্রধান মন্ত্রী কার্য্যালয়ের প্রকল্পের টাকা লুটপাট করে ধামরাইয়ে নিরিহ দরিদ্র পরিবার গুলোর সাথে প্রতারনা করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা। ঘর নির্মানের সামগ্রীর মালমাল পরিবহনের জন্য প্রতিটি ঘরের মালিককে ১০/১২ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে । এ দিকে ঘর পাওয়ার জন্য ঘরের মালিকদের ২০/২৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে সাবেক ইউ এন ও আবুল কালামকে।
হত দরিদ্র পরিবার গুলো ঘর পায়নি ঘুষের বিনিময়ে পেয়েছে বিত্তশালী পরিবার গুলো । উল্লেখ্য থাকে যে টাকার বিনিময়ে সানোড়া গ্রামে রাজ্জাকের ছেলে আনোয়ার হোসেন তার বাড়ীতে বড় বড় ৩/৪ টা ঘর থাকার পরেও ইউএনও আবুল কালামের নির্দেশে অপরাধ বিচিত্রার সাংবাদিক আমির হামজার জমি দখল করে জোর পুর্বক ঘর নির্মান করেন ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ের প্রকল্পে ঘরের টাকা লুটপাট নিয়ে জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হলে ও আইনি কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসনের উদ্বর্তন কমকর্তারা । এ দিকে ধামরাই বাসী সাবেক ইউএনও আবুল কালামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের তদন্তের জোর দাবী জানান।