রিলায়েন্স ফিন্যান্স লি: এর এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

4
1995

প্রধান প্রতিবেদক: ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রিলায়েন্স ফিনান্স লি:। প্রতিষ্টানটির এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা দিয়ে  গাড়ি ক্রয়, রিলায়েন্স ব্রোকারেজ সার্ভিসেস লি: থেকে প্রতি মাসে ৩-৪ লাখ টাকা অন্যায়ভাবে নগদ উত্তোলন,  এরিয়ান কেমিক্যাল লি: এর ৩০ লক্ষ শেয়ার ক্রয় করেছেন ৩ কোটি টাকা যার পেম্যান্ট হয়েছে রিলায়েন্স ফিনেন্স থেকে, ফাস্ট কমুনিকেশন লি: এর পরিচালক হালদার বাবুর প্রায় ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ইত্যাদি বিবিধ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রিলায়েন্স ফিন্যান্স এর এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার রিলায়েন্স ব্রোকারেজ সার্ভিসেস লি: এর বোর্ড মিটিং থেকে নিয়মিত ডাইরেক্টর রিমুনারেশন গ্রহণ করেন।

পদাধিকারবলে প্রশান্ত কুমার হালদার রিলায়েন্স ব্রোকারেজ সার্ভিসেস লি: এর মনোনিত পরিচালক। সুতরাং কোন প্রকার রিমুনারেশন গ্রহণ করা বাংলাদেশ ব্যাংক আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। মিসেস আফরোজা সুলতানা হালদার বাবুর বান্ধবী। আনেঙ্গা মোহন রায় তার নিটাত্মীয় ব্যবসার পার্টনার। অনৈতিকভাবে রিলায়েন্স ফিনান্স থেকে কোটি কোটি টাকা ডিসবার্স করেছে এই দুইজন সহ উপরোক্ত কোম্পানীগুলো। উক্ত টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোাকারেজ হাউসের মাধ্যমে। উপরোক্ত কোম্পানীগুলোর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে প্রায় কোটি কোটি টাকা হালদার বাবু পাচার করেছে সিংগাপুরের বিডিএস ব্যাংক এবং হংকং এর স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে। হংকং প্রবাসী জনৈক জাহাঙ্গীর এর মাধ্যমে কার্যটি সম্পন্ন হয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও প্রমাণ অপরাধ বিচিত্রার কাছে সংরক্ষিত আছে। অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, ডিএসই এর সার্ভিলেন্সকে অত্যন্ত সুচারুভাবে ফাঁকি দিয়ে এসব ভয়াবহ জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। প্রশান্ত কুমার হালদার দ্বারা পরিচালিত ইন্টান্যাশনাল লিজিং, ফাস্ট ফাইনান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইনান্স কোস্পানিগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। এ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আলোচনা করেছেন যা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয। এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার ৮/১০ টা নাম সর্বস্ব কোম্পানী খুলে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ফাউইন্যান্স করছে কোম্পানীগুলোকে। কোম্পনীগুলোর নামে বিও একাউন্ট খোলা হয়েছে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক এ।

পাবলিক আমানতের কোটি কোটি টাকা চলছে সিরিয়াল ট্রেডিং, প্রাইজ ম্যানিপুলেশন আর এমডি সাহেব হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারন বিনিয়োগকারী ও দেশের আর্থিক খাত/শেয়ারবাজার। লুটপাটের বড় একটি অংশ পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে।  কোম্পানীটির ৭০% ফান্ডই এমডি সাহেব ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে বিতরন করছে। বিদেশ ভ্রমন, ৪/৫ টা গাড়ি, তার নিজের লোকদের অঢেল আর্থিক সুবিধা এ যেন লুেটর রাজ্য। যে সমস্ত কোম্পানী ও ব্যাক্তির মাধ্যমে জালিয়াতি হয়েছে তার বিস্তারিত  এ প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত আছে। এই ব্যাপারে রিলায়েন্স ফিন্যান্স লি: এর এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারের বক্তব্য নেয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান।

এই ব্যপারে অপরাধ বিচিত্রার তদন্ত অব্যহত আছে। আগামি সংখ্যায় বিস্তারিত থাকছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × four =