Site icon Aparadh Bichitra

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার নজর দিন র‌্যাব ও ডিবির ভূয়া অফিসার পরিচয় দানকারী কে এই গনি, আনোয়ার ও মিসু?

স্টাফ রির্পোট: সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূয়া র‌্যাব, ডিবি অফিসার এবং ম্যাজিস্ট্রেট এর ছড়াছড়ি। কিছু দিন পূর্বে এক পুলিশ সোর্স চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে গণধোলাই খায় এবং উক্ত সোর্স নিজেকে অবশেষে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেয়। এ রকম অনেক পুলিশ সোর্স আছে যারা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। এ বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে, নারায়ণগঞ্জে চষে ভেড়াচ্ছে ভূয়া র‌্যাবের অফিসার, ডিবি অফিসার আবার কেহ এসপির লোক পরিচয় হ্যানকাপ অকিটকি নিয়ে অফিসার সেজে। ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্দিরগঞ্জ, রুপগঞ্জ, বন্দর, আড়াই হাজার, সোনারগাঁও থানাসহ ৬/৭ টি থানা এলাকার বৈধ অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পুলিশ সোর্স গনি, আনোয়ার, মিসুসহ ৬/৭ জনের একটি সিন্ডেকেট রুপগঞ্জ হাইওয়ের পাশে অবস্থিত ভেজিটেবল অয়েল মিলস, তীর মার্কা অয়েল মিলস। এ সকল মিলগুলি রুপগঞ্জ থানা এলাকায় রুপসি হাইওয়ে রোডের পাশে থাকায় মিল থেকে ট্রাকে ড্রামজাত করে বের হলেই মটর সাইকেল নিয়ে হাজির হন ভূয়া অফিসার গণি এবং আনোয়ার, গাড়ীর কাগজপত্র দেখার ভ্যান করে ড্রাইভার থেকে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। অপর দিকে ড্রাইভার, হেলপার অকিটকি হ্যানক্যাপ দেখে আসল অফিসার ভেবে হাজার হাজার টাকা দিয়ে ইজ্জত নিয়ে চলে যায়।

তবে অনুসন্ধান করে দেখা যায় অনোয়ার, গনি এবং মিসু নামের এই তিন ব্যক্তি প্রতিটি থানার অফিসারদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্লাক মেলিং করে আসছে। সূত্রে আরও জানা যায় যখন যে থানা এলাকায় কাজ করেন তখন ঐ থানার অফিসারদের সাথে মিল রেখে ছামারী করছেন। কারন হিসেবে উল্লেখ করেন এই গনি, আনোয়ার অকিটকি ও হ্যানক্যাপ কোথায় পেল, কোন কোন পুলিশ সদস্য জড়িত রয়েছে তাও অনুসন্ধান করা দরকার বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। এখানে উল্লেখ্য বাংলাদেশের সুনাম ধন্য পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এর জেলায় ভূয়া র‌্যাব অফিসার, ডিবি অফিসার সেজে ব্যবসায়ীদের ব্লাক মেলিং করা কারো কাম্য নয়।

যে পুলিশ সুপার হাকডাক দিয়ে বলতে থাকেন নারায়ণগঞ্জ জেলায় নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, দখল বাজি, চাঁদা বাজি, মাদক ব্যবসা চলবে না। তবে বাস্তবতায় দেখা যায় মাদক ব্যবাসী প্রকাশ্যে না হলেও আন্ডার গ্রাউন্ডে চলছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে র‌্যাব সেজে, পুলিশ অফিসার সেজে হ্যানক্যাপ, অকিটকি নিয়ে পুলিশ সোর্সগুলি ঠিকই চাঁদাবাজি করে চলছে দীর্ঘদিন যাবৎ। এই সোর্সগুলি এএসপির লোক, সিআইডির এএসপি সরোয়ারের লোক, আবার কেহ ওসিদের নিয়োগ করা লোক বলে এলাকায় নিজেদের জাহির করে।

সোর্সদের কাজ হচ্ছে অফিসারদের বিশ্বস্তা ও আস্তা অর্জন করে হ্যানক্যাপ অকিটকি হস্তগত করে মটর সাইকেল দিয়ে গাড়ী সিগনাল দিয়ে কাগজপত্র দেখার ভ্যান করে ব্লাক মেলিং করে যাচ্ছে আনোয়ার, গনি, মিসু। এ সকল সোর্সদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায় দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ জেলায় পুলিশের সোর্সগিরি করে এক এক সোর্স লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে। এসকল সোর্সেরা বাড়ী, গাড়ীসহ অঢেল সম্পদের মালিক। যা কিনা অনেক পুলিশ অফিসারের নেই। তার বাস্তবতা উল্লেখ করা হল, অনেক পুলিশ অফিসারের মটর সাইকেল নেই, কিন্তু সোর্স আনোয়ার, গনিরা মটর সাইকেল ছাড়া চলে না।

সূত্রে আরো জানা যায় গনি এবং আনোয়ারের মটর সাইকেলের পিছনে বক্স রয়েছে। ঐ বক্সে হ্যানক্যাপ অকিটকি রাখে, আবার কখনও বা হ্যানক্যাপ কোমড়ে রেখে চলাচল করে। সুযোগ পেলে হ্যানক্যাপ অকিটকি বের করে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সোর্স আনোয়ার ও গনির বিষয়ে আরো গভিরে অনুসন্ধান চলছে। তবে সুনামধন্য পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এর সুনাম ক্ষুন্ন করার করার পায়তারা করছে সোর্স আনোয়ার ও গনি। পুলিশ সুপারের ইজ্জত রক্ষার স্বার্থে ও জননিরাপত্তার স্বার্থে ওদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।

সূত্রে আরো জানা যায় গনি এবং আনোয়ারের মটর সাইকেলের পিছনে বক্স রয়েছে। ঐ বক্সে হ্যানক্যাপ অকিটকি রাখে, আবার কখনও বা হ্যানক্যাপ কোমড়ে রেখে চলাচল করে। সুযোগ পেলে হ্যানক্যাপ অকিটকি বের করে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সোর্স আনোয়ার ও গনির বিষয়ে আরো গভিরে অনুসন্ধান চলছে। তবে সুনামধন্য পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এর সুনাম ক্ষুন্ন করার করার পায়তারা করছে সোর্স আনোয়ার ও গনি। পুলিশ সুপারের ইজ্জত রক্ষার স্বার্থে ও জননিরাপত্তার স্বার্থে ওদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।