স্টাফ রিপোর্টার:
‘উপজেলা ভুমি অফিস, হবিগঞ্জ সদর কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ঘুরিয়েও ঘুষ ব্যতিত সেবা প্রত্যাশীরা সেবা পাচ্ছেন না’ বিষয়ে তদন্ত করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরন করার জন্য মো: জমির আলী, সভাপতি, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন, হবিগঞ্জকে লিখিতভাবে নির্দেশ দেন উক্ত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ। তদন্তকারী ডিসি হবিগঞ্জ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ সদর থানাকে লিখিতভাবে অবগত তরে তদন্তকাজ শুরু করেন।
তদন্তের সময় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সার্ভেয়ার ও কানুনগো (অতি: দায়িত্ব) মো: মানিক মিয়া ও তার প্রভাবশালী আত্মীয়দেরকে দ্বারা মো: জমির আলীকে তদন্তে বাধা দেয় ও হুমকি দেয়। এই ব্যাপারে সভাপতি জমির আলী ১৭-০৯-২০১৯ ইং তারিখে ডিসি হবিগঞ্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন যার অনুলিপি জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ বরাবর প্রেরন করেন। প্রেরিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উক্ত ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবদুল আলীম ডিসি হবিগঞ্জ এর বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেন নাই।
অত:পর ডিসি হবিগঞ্জ এর মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন সাড়া দেন নাই। পুরো ঘটনাটি জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফউন্ডেশনের ঢাকা অফিস হতে ভুমী মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব, বিভাগীয় কমিশনার হবিগঞ্জ বিভাগকে লিখিতভাবে জানা হয়। যার অনুলিপি ডিসি হবিগঞ্জকে প্রদান করা হয়। অনুলিপি পেয়ে ডিসি হবিগঞ্জ তার নিয়ন্ত্রনাধীন উপজেলা ভুমি অফিসে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত না করে উল্টো অভিযোগকারী জমির আলীকে ডেকে পাঠান ও অত্র ফাউন্ডেশন এ ব্যাপারে তদন্ত করতে পারে কিনা তার প্রমাণ, কাগজপত্র ইত্যাদি দেখতে চান ও মোট কথা অভিযোগকারীকে হয়রানি করছেন। অর্থাৎ তিনি অভিযোগের তদন্ত না করে অভিযোগকারীর তদন্ত করেছেন।
অথচ যে বিষয়ে ডিসি হবিগঞ্জ বরাবর জমির আলী অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে যে কোন সাধারন নাগরিকও অভিযোগ করতে পারেন। এ বিষয়ে ডিসি হবিগঞ্জ এর কার্যক্রম সন্তোষজনক নয় বলে প্রতীয়মান।