কর অঞ্চল-১৪ তে নাজির পদে কর্মরত আ: লতিফের দুর্নীতি

0
1018

নাজনীন: রাজধানীর বিজয় নগরে অবস্থিত কর অঞ্চল ১৪ অফিসে নাজির পদে কর্মরত কমচার্রীা আ: লতিফ সরকার এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সূত্র মতে জানা যায় দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে অর্থ উপার্জন করে বর্তমানে কোটি কোটি টাকা ও বাড়ী গাড়ির মালিক আ: লতিফ সরকার। অন্য কর অফিসে কর্মরত মো: তাজুল ইসলাম সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা অফিস কে জানায় আপনাদের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে আ: লতিফ সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের ভয়ে তার স্ত্রী নুরজাহান বেগমের ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, মাতুয়াইল শাখায় টাকা রাখেন এবং বাড়ীর নেম প্লেটটি খুলে ফেলেন। তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে প্রায় তিন কোটি টাকা আছে।

দুদকের ভয়ে শুধু টাকা ব্যাংকে রাখছেন না ফ্লাট, জমি, বাড়ী অধিকাংশই স্ত্রী নুরজাহানের নামে। আ: লতিফ সরকার দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে অর্থ উপার্জন করে। যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইলের রহমতপুরের বৃহত্তর কুমিল্লা টাওয়ারে স্ত্রীর নামে, ছেলে নোমান সরকার এর নামে এবং নিজ নামে ৮টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন ইতিমধ্যে ৫টি ফ্ল্যাট বিক্রয় করে দিয়েছেন। বর্তমানে ঐ টাওয়ারে তিনটি ফ্ল্যাট আছে। ৫টি ফ্ল্যাট বিক্রয়ের টাকা দিয়ে কিছু দিন আগে রহমতপুরের বাসিন্দা মাহিদুলের নিকট হতে একটি বাড়ী ক্রয় করে থাকেন।

মাতুয়াইল রহমতপুরের কয়েকটি বাড়ী এবং তিনটি ফ্ল্যাট এর বর্তমান মালিক কর অঞ্চল ১৪তে কর্মরত আ: আব্দুল লতিফ সরকার ও তার স্ত্রী মোসা: নূরজাহান সরকার। বৃহত্তর কুমিল্লা টাওয়ারে অন্যান্য যে সমস্ত ব্যাক্তিরা ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন তাদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যাক্তি সংবাদ কর্মীদের জানায় এ টাওয়ারের সেক্রেটারী হলেন আ: লতিফ সরকার এবং সভাপতি হলেন মো: গোলাম মোস্তফা প্রধান আমরা ফ্ল্যাটগুলোর ক্রয় করার পরে দেখতে পাই যে রাজউকের এর নিয়ম কানুন অনুসারে টাওয়ারটি র্নিমান কাজ করা হয়নি।

টাওয়ার র্নিমান করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী ভবনটি র্নিমান ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন আ: মতিন ও লতিফ সরকারের স্ত্রী নুরজাহান সরকার আঁতাত করেই নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে এই ভবন নির্মান করেছেন।

ভূমিকম্প হলে আমরা দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হতে পারে। ঐ ভবনের প্রতিবেশি বাড়ীর মালিক মো: বিপ্লব সংবাদ কর্মীদের জানায় কুমিল্লা টাওয়ার নির্মান করার লক্ষ্যে রাজউক এর নিয়ম কানুন অমান্য করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মধ্যে দিয়ে নির্মান করা হয়েছে আমরা প্রতিবেশিরা কিছু বললে, আমাদের মামলার ভয় ভীতি দেখায় এবং পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে যাবেন এমনই হুমকি দেয় আ: লতিফ সরকার ও তার স্ত্রী নুরজাহান সরকার।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সেগুন বাগিচা প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত এক কর্মকর্তার সাথে কর অঞ্চল ১৪ তে কর্মরত আ: লতিফ সরকারের অনিয়ম ও দুর্নীতি ও তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে তিন কোটি টাকা আছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বললে, তিনি সংবাদ কর্মীদের জানায়, পূর্বেও আমরা

আ: লতিফের দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকায় রিপোর্ট দেখেছি তবে কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্নীতিবাজ যত শক্তিশালী হউক না কেন কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। একজন ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী হয়ে এবং সামান্য বেতনে চাকরি করে কি ভাবে এত বিশাল সম্পদের মালিক হলেন তা অবশ্যই দুর্নীতি দমন কমিশনের খতিয়ে দেখা উচিত।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × five =