স্টাফ রিপোর্টার: রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে দলবদল বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। নীতি আদর্শের কথা ভুলে গিয়ে অতীতে অনেকেই যোগ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলে। এক দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি বর্তমানে অন্য রকম হয়ে গেছে। বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় নিজ দল ছেড়ে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেওয়া হচ্ছে তাকে আর দলবদল বলা যায় না। বলা যায় অনুপ্রেবশকারী। আর এই প্রক্রিয়ায় বিএনপি জামায়ত শিবির ছেড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ শুরু হয় ২০০৯ সালে। ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর গনভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জামায়াত-বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে নয়। কিন্তু তার পরেও অনুপ্রবেশ থেমে নেই। নানা প্রক্রিয়ায় জামায়াত-শিবির থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশের পর পদ পদবী বাগিয়ে নিচ্ছেন অনেকে।
ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ৫ নং শৌলজালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহামুদ হোসেন রিপন অন্যতম। ছাত্রজীবনে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা ডিগ্রী কলেজের শিবিরের সভাপতি ছিলেন এবং কাঠালিয়া উপজেলা জামায়াতের সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি কখনই মুজিব আদর্শের সৈনিক ছিলেন না। ওয়ান ইলেভেনের পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে মাহামুদ হোসেন রিপনের সৎভাই খায়রুল ইসলাম মান্নান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব-১ নির্বাচিত হন। পাল্টে যায় শৈৗলজালিয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক দৃশ্যপট।
মাহামুদ হোসেন রিপন এলাকাতে এলেন প্রথমেই এক প্রকার জোড় করে-দখল করে নিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ। তৎকালীন শৈৗলজালিয়া ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী আব্দুল খালেক যাকে সবাই বাটা খালেক বলে চিনতেন কোন কাউন্সিল বা সভা না করেই সৎভাইকে দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে সরাসরী হয়ে গেলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। রিপন সভাপতি হয়েই ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য আওয়ামীলীগের মুলধারার এবং ত্যাগী নেতাদের রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। শুরু হয় অবৈধ মিশন।
শালিস বানিজ্য থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি করেন নাই। তার ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট। ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারে বেশ সুনাম রয়েছে তার। সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিচার শালিসের নাম করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তার আরও একটি পরিচয় আছে, তাকে মানুষ টিউওবয়েল চেয়ারম্যান বললে নাম ছাড়াই চিনে ফেলে। কারন শৈৗলজালিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সে টিউওবয়েল দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন।
কিন্তু এখনো টিইওবয়েল দিতে পারেনি। রাস্তাঘাটে বা তার অফিসে গিয়ে যদি কেউ তার কাছে পাওনা টাকার তাগাদা দেয়-তিনি তাদের ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দেন। তার সৎভাই এপিএস থাকাকালীন অসংখ্য লোকের নিকট থেকে চাকুরীর কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিরোধীতা করে অনেক দিন গাঁঢাকা দিয়ে ছিলেন। ইদানিং তাকে আবার জনসম্মূখে দেখা যায় বিএনপি ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে।
এব্যাপারে মাহামুদ হোসেন রিপনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। কারন হিসেবে এক ভুক্তভোগি বলেন, মাহামুদ হোসেন রিপনের অনেক পাওনাদার রয়েছে। এজন্য তিনি বিভিন্ন নাম্বারের সিম কার্ড ব্যবহার করেন। বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে। চোখ রাখুন আগামী পর্বে।
এব্যাপারে মাহামুদ হোসেন রিপনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। কারন হিসেবে এক ভুক্তভোগি বলেন, মাহামুদ হোসেন রিপনের অনেক পাওনাদার রয়েছে। এজন্য তিনি বিভিন্ন নাম্বারের সিম কার্ড ব্যবহার করেন। বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে। চোখ রাখুন আগামী পর্বে।