লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নেতা একেএম ফরিদ উদ্দিনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিনে আবুল কাশেম জিহাদী বাহিনীর কয়েকজনকে মাদক ও ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে ব্যবসায়ী নেতা ফরিদ উদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা করে জিহাদী। তার ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ও চাঁদাবাজিসহ নানা অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ। কাশেম জিহাদী লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসের জনক ও মাদকের গডফাদার বলেও দাবী করেন এ ব্যবসায়ী। ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে কাশেম জিহাদী তার বাহিনীর সন্ত্রাসী মাহফুজুর রহমানকে গুলি ও বোমা দিয়ে তাকে হত্যা করার জন্য পালেরহাট বাজারে পাঠায়। এ সময় মাহফুজুর রহমানের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০টি হাতবোমা ও ২৫ রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করে। ফরিদকে হত্যার জন্য কাশেম জিহাদী তাকে পাঠায় বলে ব্যবসায়ীদের সামনে স্বাকোরিক্ত দেয় মাহফুজ বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করে লিখিত বক্তব্যে পালেরহাট বনিক সমিতির সভাপতি একেএম ফরিদ উদ্দিন,তিনিসহ ব্যাবসায়ীরা সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ও মাদকের গডফাদার আবুল কাশেম জিহাদীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।
এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে নেমে আসে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন। তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলার সাহস পায়না বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সন্মেলনে। এসময় উপিস্থিত ছিলেন, আমির আহম্মেদ রাজু ও আবদুল মতিন পাটওয়ারী ও বনিক সমিতির নেতা দেলোয়ার হোসেন,জাহাঙ্গীর আলম, জাফর আহাম্মদ, শাহজাহান, আক্তার হোসেন ও সোলাইমান হোসেন প্রমুখ।
তবে ক্যামরায় কথা না বল্লে তিনি জানিয়েছেন বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদী অভিযোগ অস্বীকার করে ,তিনি আরো জানান,ফরিদ উদ্দিনের সাথে আমার কোন সর্ম্পক নেই। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। অন্য কিছু নয়।